মাছ ছাড়া একদিনও খাওয়া আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাছ খেলে পুষ্টি ও তৃপ্তি পাওয়া যায়। আমাদের কাছে চিংড়ি, শোল, গোজার, কই, শিং, মাগুর, পুঁটি, পাবদা, টেংরা, বাইলা, টাকি, বাইম, বাঁশের পাতা, রুই, কাতল, মৃগেল, ফলিসহ হাজার হাজার প্রজাতির মাছ রয়েছে। সরপুঁটি, বোয়াল, বেটকি। কেউ ছোট মাছ পছন্দ করে, কেউ বড় পাঙ্গাস-বোয়াল পছন্দ করে। মাছের এত নাম বলা হলেও সবচেয়ে ভালো স্বাদের ইলিশ এখনো বলা হয়নি। সব মাছের মধ্যে সেরা, যে মাছ সবার পছন্দের তালিকায় সবার আগে চলে আসে সে মাছের রাজা। আমরা ভাগ্যবান এই চমৎকার স্বাদের মাছটি এখানে পেয়ে। প্রিয় এই মাছটি ভাজা, ভুনা, স্যুপ, ভাত, খিচুড়ি বা পোলাও যেকোন ভাবেই খাওয়া যায়।
তবে সারা বছরই বাজারে কমবেশি ইলিশ পাওয়া যায়। ইলিশের স্বাদ নির্ভর করে অঞ্চলের ওপর। যেমন পদ্মার ইলিশের চেয়ে বরিশালের ইলিশের স্বাদ আলাদা।
ইলিশ শুধু স্বাদেই সেরা নয়, এর পুষ্টিগুণও রয়েছে প্রচুর। এতে ভিটামিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম আয়রন এবং সেলেনিয়ামের ক্ষুদ্র খনিজ লবণ রয়েছে। এটি ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উত্স যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ইলিশ কেনার সময় চীনের ভালো মানের দেশি ইলিশ কিনতে হবে। তা না হলে ইলিশের স্বাদ পাওয়া যাবে না, টাকাও নষ্ট হবে। কারণ ইলিশের মতো দেখতে সার্ডিন মাছও বাজারে অনেক সময় পাওয়া যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা ইলিশ হিসেবে বিক্রি করে। এজন্য আপনাকে সচেতন হতে হবে, আপনাকে জানতে হবে রূপালী মাছের আসল রাজা। তবেই রাজকীয় স্বাদ পাবেন।
সার্ডিন জেলেদের কাছে চন্দনা, যাত্রিক, টাকিয়া, পানসা, খয়রা এবং সাগর চাপিলা নামে পরিচিত। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা সার্ডিন বা স্যান্ডেল মাছ শহরে এনে ইলিশ হিসেবে বিক্রি করে।
মাছের রাজা ইলিশ, স্বাদের রাজাও ইলিশ। প্রিয় এই মাছটি ভাজা, ভাজা, ঝোল, খিচুড়ি বা পোলাও দিয়ে খাওয়া যায়। এটি শুধু স্বাদেই সেরা নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং সেলেনিয়ামের গৌণ খনিজ লবণ রয়েছে। এটি ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উত্স যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কিন্তু অনেক সময় কাঙ্খিত ইলিশ পাওয়া যায় না। বাজারে চন্দনা ইলিশ, গুপ্তা ইলিশ, পদ্মার ইলিশ, মেঘনার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে পছন্দের তালিকায় রয়েছে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ। সেক্ষেত্রে অনেকেই ইলিশ চিনতে না পারায় পদ্মা ও মেঘনার ইলিশের পরিবর্তে অন্য ধরনের ইলিশ কিনে বাড়ি ফেরেন। আসল ইলিশের কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাজারে ইলিশের মতো দেখতে সার্ডিন মাছ পাওয়া যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা ইলিশ হিসেবে বিক্রি করে। রূপালি ইলিশ চিনতে হলে এর বৈশিষ্ট্য জানতে হবে।
আসল ইলিশ কিভাবে চিনবেন
পদ্মা ও মেঘনার ইলিশের রং উজ্জ্বল রূপালী। অন্যদিকে হিমায়িত সামুদ্রিক ইলিশের রং ম্লান, ফ্যাকাশে। টাটকা ইলিশ শক্ত। তাজা ইলিশ হাতে ধরলেও আকৃতি বদলাবে না। অন্যদিকে হিমায়িত বাসি ইলিশ নরম। হাত দিয়ে পেটের কাছে ধরলে মাথা ও লেজ নিচে কাত হয়ে যাবে।
পদ্মা-মেঘনার ইলিশ খুব গোলাকার। অর্থাৎ মাছের পেট মোটা ও চওড়া এবং সামুদ্রিক ইলিশের পেট সরু।
ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কান দেখে নিন। তাজা ইলিশের কান উজ্জ্বল লাল রঙের হয়। আর বাসি ইলিশ হিমায়িত হলে কান বাদামি বা কালো রঙের হবে। তাজা ইলিশের চোখ পরিষ্কার ও উজ্জ্বল। হিমায়িত ইলিশের চোখ মেঘলা ও ভেতরের দিকে।
এ ছাড়া অনেকেই সার্ডিন মাছ ইলিশ হিসেবে বিক্রি করেন। সার্ডিন বা স্যান্ডেল ইলিশের দেহের দৈর্ঘ্য সাত থেকে বিশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর আসল ইলিশ তো ভালোই
বড় হয় (৭৫ সেমি পর্যন্ত)।
সার্ডিনের মাথার আকৃতি ছোট এবং ডগা ভোঁতা। আর ইলিশের মাথার আকৃতি লম্বা এবং ডগা সোজা। পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগ এবং সার্ডিনের পুচ্ছ পাখনার প্রান্ত ঝাপসা। ইলিশের পৃষ্ঠীয় পাখনার অগ্রভাগ এবং লেজের পাখনার প্রান্ত সাদা। সার্ডিনের চোখ বড়। প্রকৃত ইলিশের চোখের আকৃতি অপেক্ষাকৃত ছোট।