আমরা প্রতিনিয়ত অনেক চবি যুক্ত খাবা খায়। যে গুলো আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। বেশি শুয়ে বসে থাকার জীবনযাপনে কোলেস্টেরল বাড়ে। অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান, অ্যালকোহল পান, জর্দা সেবন, অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাওয়ার খেলে যেকোনো সময় কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আর কিছু রোগ রয়েছে কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি। আর কিছু ওষুধ আছে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ডার্ক চকলেট
যারা চকলেট খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর, চকলেট পেট মেদহীন করতে পারে, তবে সেটা ডার্ক চকলেট। তবে এই উপকার পেতে ডেজার্ট পর্যন্ত অপেক্ষা না করাই ভালো।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে- যারা খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা আগে ৩.৫ আউন্স চকলেট খেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ডার্ক চকলেট গ্রহণকারীরা মিল্ক চকলেট গ্রহণকারীদের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন। গবেষকদের মতে, ডার্ক চকলেটে আছে বিশুদ্ধ কোকো বাটার, যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করার জন্য দায়ী স্টিয়ারিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস। ডার্ক চকলেট হজম হতে সময় নেয়, ফলে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমাতে ভুমিকা রাখে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে আছে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধকরা পলিফেনল উপাদান ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক মনোআনস্যাচারেইটেড ফ্যাট। সম্প্রতি স্থূলতা বিষয়ের উপর করা এক গবেষণায় জানা যায়- শর্করা বা আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি খাবার শরীরে অ্যাডিপোনেক্টিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অ্যাডিপনেক্টিন হচ্ছে এমন একটি হরমোন যা শরীর থেকে চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং যত বেশি অলিভ অয়েল খাওয়া হবে ততবেশি বিএমআই কমার প্রবণতা থাকবে।
মেয়োনিজ
মেয়োনিজ বহু খাবারে ব্যবহার করা হয়। তবে দেখা গিয়েছে এই খাবার খেলে শরীরে সমস্যা হতে পারে। এমনকী এলডিএল কোলেস্টেরল শরীরে অনেকটাই বাড়ে। তাই এই খাবার থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে।
ফাস্ট ফুডঃ ফাস্ট ফুডেকোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান তেল। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অবশ্য খেতে পারেন সানফ্লাওয়ার, অলিভ এই ধরনের তেল। এমনকী সরষের তেলও খাওয়া যায়।
পরিমানের অধিক কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা এবং চর্বি থাকায় তা শরীরে নানান সমস্যা তৈরি করে, বিশেষ করে মেদ বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত চর্বি দেহে জমতে থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীর তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে। প্রতিনিয়ত ছুটে চলা আজকের জনগণের কাছে খাবার তৈরির সময়টুকুও হয়ে উঠে না অনেক সময়।
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার
ক্যালোরি, ট্র্যান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত লবণ থাকে তৈলাক্ত ও ভাজা খাবারে। এগুলো নিয়মিত খেলে বাড়ে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি সব কিছুতেই উচ্চ কোলেস্টেরল, চিনি, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রচুর ক্যালোরি থাকে। এগুলি বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যানসার হতে পারে।
জাঙ্ক ফুড
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে দূরে থাকতে হবে ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড থেকে। এগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে শরীরকে।
প্রসেসড মিট
সসেজ বা এই ধরনের প্রসেসড মাংস খাবেন না। এগুলো কেবল বাজে কোলেস্টেরলই বাড়ায় না, কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এই তেল শরীরের জন্য খারাপ। এই তেলে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এবার দক্ষিণের দিকে এই তেল খুব ব্যবহার হয়। এই তেল ব্যবহার করলে কিন্তু তা জমবে রক্তনালীর ভিতর। এবার এই বিষয়টি মাথায় রাখার চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে। নইলে সমস্যা বাড়বে।
পাম তেল
পাম তেলের দাম অনেকটাই কম। তাই প্রচুর মানুষ এই তেল খেয়ে থাকেন। এবার দেখা গিয়েছে যে এই তেল খেলে শরীরে সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এমনকী শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে পাম তেল। তাই এই তেল খাওয়া আজই বন্ধ করুন। এতে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
বাদাম তেল
বাদাম তেল অনেকে পছন্দ করেন। যদিও এই তেল কিন্তু শরীরে ক্ষতি করে দেয়। তাই একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে বাদাম তেল খেলে জমতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল। তার থেকে শরীরে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এমনকী বনস্পতি খাওয়াও খুবই খারাপ।
মাখন
মাখন এটা তেল নয়, মাখন হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট খুব সহজেই সমস্যা তৈরি করে। তাই মাখন খাওয়া ছাড়তে হবে আপনাকে। একটু বয়স বাড়লেই মাখন খাবেন না আর। কারণ এর থেকে সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এবার এটা মাথায় রাখুন।