লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়েরসহ দুই জনের নামে দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্র জানা গেছে, আবুল খায়ের একসময় সাধারণ মাদ্রাসা শিক্ষক থাকলেও এখন চড়েন ৩৫ লাখ টাকার এসি গাড়িতে। তার নিজ নাম ও পরিবারের সদস্যদের নামে কমলনগর, রামগতিসহ ঢাকায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সাহেবেরহাট ইউনিয়নটির অধিকাংশ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে সেখানে নির্বাচন দিচ্ছে না কমিশন। এ জন্য একবার নির্বাচিত হয়ে প্রায় ১৪ বছর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আবুল খায়ের।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৯ এপ্রিল জয়নুল আবেদিন নামে এক ব্যক্তি স্পেশাল জজ আদালত ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালে ইউপি চেয়ারম্যান খায়েরসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। ১২ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
বাদী জয়নুল আবেদিন কমলনগর উপজেলার চরজগবন্ধু গ্রামের মৃত মমিন উল্যার ছেলে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবুল খায়ের একই এলাকার মৃত ইয়াসিন পাটওয়ারীর ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা। অপর অভিযুক্ত বেলাল হোসেন জুয়েল উপজেলার চরফলকন গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, ‘জয়নুলের বাড়ি চরলরেন্স ইউনিয়নে। তিনি আমার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। ব্ল্যাকমেইল করে তিনি আমার কাছ থেকে নাগরিক সনদ নেন। আমার এলাকায় কাজীর পোস্ট খালি রয়েছে। সেখানে তিনি আবেদন করেন। কিন্তু আমি স্থানীয় একজনের পক্ষে সুপারিশ করি। এরমধ্যে জয়নুল কাগজপত্র ঠিক করে নিজের নামে আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপ্রেক্ষিতে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজী নিজাম উদ্দিন আদালতে মামলা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে রেখেছে। জয়নুল মনে করেছে ঘটনাটি আমি করেছি। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে কোনো কিছু না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’