নদী বাংলাদেশের প্রাণ: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
নদী বাংলাদেশের প্রাণ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নদীর নাব্য নিয়ে কথা বলেছিলেন, এর পর ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন। এর মধ্যে কোনো সরকার দেশের নদী নিয়ে কোনো কথা বলেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে ড্রেজার মেশিনসহ যাবতীয় উপকরণ আমদানি করেছেন। আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি অভ্যন্তরীণ নাবিকদের স্মার্ট কার্ড সনদ ও সার্ভিস বুক উদ্বোধন করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নত প্রযুক্তি নেই, যার ফলে আমরা নদী সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করতে পারিনি। ২০১৯ সালে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে সেটা পিছিয়ে পড়েছিল। নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক বাধা রয়েছে, তবু আমরা থেমে থাকিনি। নদীর নাব্য নিশ্চিত ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আগে কলকারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে মিশত, এখন আমরা সেগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলছেন, যেগুলো কোনো সরকারপ্রধান আগে বলেননি। স্বাধীন দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুখ পৌঁছে দিতে এ সরকার কাজ করছে।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের মতো এবারও নদী ড্রেজিং করতে যাচ্ছি। তাছাড়া, নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লাইফ জ্যাকেটসহ যাবতীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা, নাবিক-শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতি বছর ৫০০ নাবিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। শর্ট কোর্সের মাধ্যমে অনেক নাবিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারে এবং নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করতে পারে।’ তিনি দুর্ঘটনা রোধে জাহাজ মালিক, নাবিক ও শ্রমিকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়া, বিআইডব্লিওটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুরুল কবির, কোস্টাল সার্ভিসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও পালন করা হচ্ছে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪। এ বছর ৪ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হবে। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নৌযান মালিক-শ্রমিকদের আলোচনা সভা, অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নদী বাংলাদেশের প্রাণ: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নদী বাংলাদেশের প্রাণ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী হলো বাংলাদেশের প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে নদীর নাব্য নিয়ে কথা বলেছিলেন, এর পর ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন। এর মধ্যে কোনো সরকার দেশের নদী নিয়ে কোনো কথা বলেনি। প্রধানমন্ত্রী দেশের নদীগুলোর নাব্য ফিরিয়ে আনতে ড্রেজার মেশিনসহ যাবতীয় উপকরণ আমদানি করেছেন। আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি অভ্যন্তরীণ নাবিকদের স্মার্ট কার্ড সনদ ও সার্ভিস বুক উদ্বোধন করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নত প্রযুক্তি নেই, যার ফলে আমরা নদী সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করতে পারিনি। ২০১৯ সালে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনার কারণে সেটা পিছিয়ে পড়েছিল। নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক বাধা রয়েছে, তবু আমরা থেমে থাকিনি। নদীর নাব্য নিশ্চিত ও দূষণমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আগে কলকারখানার বর্জ্য সরাসরি নদীতে মিশত, এখন আমরা সেগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলছেন, যেগুলো কোনো সরকারপ্রধান আগে বলেননি। স্বাধীন দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুখ পৌঁছে দিতে এ সরকার কাজ করছে।

নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরের মতো এবারও নদী ড্রেজিং করতে যাচ্ছি। তাছাড়া, নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লাইফ জ্যাকেটসহ যাবতীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা, নাবিক-শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা প্রতি বছর ৫০০ নাবিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। শর্ট কোর্সের মাধ্যমে অনেক নাবিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের নৌ দুর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারে এবং নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করতে পারে।’ তিনি দুর্ঘটনা রোধে জাহাজ মালিক, নাবিক ও শ্রমিকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এছাড়া, বিআইডব্লিওটিসির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুরুল কবির, কোস্টাল সার্ভিসের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির, অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, নৌ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও পালন করা হচ্ছে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৪। এ বছর ৪ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হবে। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী নৌযান মালিক-শ্রমিকদের আলোচনা সভা, অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত