বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাসা ও সামিট গ্রুপের মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এ চিঠি দিয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ খান এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)।
সিআইসি বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে। পর্যায়ক্রমে এসকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকিকৃত কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান এবং এদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধান/উদঘাটনের এনবিআর এর সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সিআইসি কর্তৃক পরিচালিত এ বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গতকাল বুধবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সিআইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এই পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠীর গত কয়েক বছরের আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে কর ফাঁকির তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এসব গোষ্ঠীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমদানি রপ্তানি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রীসহ অনেকের ব্যাংক হিসাব জব্দ ও তলব করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার উল্লিখিত ব্যবসায়ীদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য তলব করা হয়েছে।