হিজবুল্লাহকে বাদ দিয়ে লেবাননে সরকার গঠনের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হিজবুল্লাহকে বাদ দিয়ে লেবাননে সরকার গঠনের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরায়েলের হিজবুল্লাহবিরোধী অভিযানকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে লেবাননের সরকার গঠনের নতুন প্রক্রিয়ায় হিজবুল্লাহকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাইডেন প্রশাসনের আগের অবস্থান থেকে এক বিরাট পরিবর্তন হবে। ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করে আসছিল দেশটি। ১১ মাস ধরে চলা সীমান্ত সহিংসতার পর সম্প্রতি এই সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরও প্রধান। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলা সব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করেছেন।

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সংগঠনের দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহও রয়েছেন। বৈরুতের বাঙ্কারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি নিহত হন। এই দুর্বল অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, লেবাননের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙার সুযোগ এসেছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটি কোনও প্রেসিডেন্ট নেই। এর ফলে লেবাননের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে লেবানিজ মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৯৭ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং বর্তমান সংঘাত মোকাবিলায় সরকারকে অক্ষম করে ফেলেছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট ১২৮ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রয়েছে। তবে কোনও পক্ষই এককভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য যথেষ্ট আসন সংখ্যা পায় না। এ জন্য হিজবুল্লাহ ও গোষ্ঠীটির মিত্রদের সমর্থন প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই লেবানন হিজবুল্লাহর গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসুক— শুধু গ্রাস নয়, আমরা চাই হিজবুল্লাহর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতাও ছিন্ন করা হোক।’

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কাতার, মিসর ও সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি লেবাননে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার পরিকল্পনায় সমর্থন আদায় করতে চেষ্টা করেছেন। সৌদি আরব এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে মিসর ও কাতার এই পরিকল্পনাকে অবাস্তব এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না এবং তাই গোষ্ঠীটিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সংঘাতের অবসানের জন্য।

লেবাননের ভেতরেও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচেষ্টা করা হলে দেশটি আবারও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে, যেমনটা অতীতে হয়েছে। মিসরও এই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে ক্ষমতায় আসা কেউ বৈধতা অর্জন করতে পারবেন না এবং লেবাননের জনগণ ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তীব্র ক্ষোভের মুখোমুখি হবেন।

বৈরুতের পার্লামেন্টে সদস্য ও সংস্কারপন্থি নেতা ইব্রাহিম বলেন, আমাদের কোনও নেতৃত্ব নেই যা অন্তত একটি পথ শুরু করতে পারে যেখানে আমরা সংকটের শেষ দেখতে পারি।

হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত আমোস হকস্টেইন আরব নেতাদের বলেছেন যে, হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় লেবাননের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের সুযোগ এসেছে।

একটি শিয়া গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন পার্লামেন্টের স্পিকার বেরি। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকরা। যদিও বেরি ও মিকাতি দুজনেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর লড়াইকে সমর্থনও জানিয়েছেন।

হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ জীবিত নেতা উপ-মহাসচিব নাঈম কাসেম এই সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধ চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক পুনর্গঠনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি বেরির যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার সমর্থন করেছেন। যদিও তিনি তার সংগঠনের কোনও শর্ত উল্লেখ করেননি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার লেবাননের জনগণকে হিজবুল্লাহকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে।

লেবাননের জনগণের উদ্দেশে ইংরেজি ভাষায় এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আপনারা লেবাননকে রক্ষা করার একটি সুযোগ পেয়েছেন। যাতে করে এটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের গহ্বরে না পড়ে। এমনটি হলে ধ্বংস ও ভোগান্তি ডেকে আনবে, যেমন আমরা গাজায় দেখছি। এটি এমনই হতে হবে তা নয়। আপনারা দেশকে হিজবুল্লাহ থেকে মুক্ত করুন, যাতে আপনার দেশ আবারও সমৃদ্ধ হতে পারে, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের লেবানিজ এবং ইসরায়েলি শিশু যুদ্ধ বা রক্তপাতের মধ্যে নয়, শান্তিতে বসবাস করতে পারে।’

হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে গত বছরের ৭ অক্টোবর। ওই দিনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জবাবে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী।

৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ বাহিনী প্রতিদিনই ইসরায়েলি সীমান্তে বিভিন্ন সামরিক অবস্থান এবং সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরায়েলও পাল্টা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হিজবুল্লাহকে বাদ দিয়ে লেবাননে সরকার গঠনের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

হিজবুল্লাহকে বাদ দিয়ে লেবাননে সরকার গঠনের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরায়েলের হিজবুল্লাহবিরোধী অভিযানকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে লেবাননের সরকার গঠনের নতুন প্রক্রিয়ায় হিজবুল্লাহকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাইডেন প্রশাসনের আগের অবস্থান থেকে এক বিরাট পরিবর্তন হবে। ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করে আসছিল দেশটি। ১১ মাস ধরে চলা সীমান্ত সহিংসতার পর সম্প্রতি এই সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরও প্রধান। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলা সব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্তব্য করেছেন।

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সংগঠনের দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহও রয়েছেন। বৈরুতের বাঙ্কারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি নিহত হন। এই দুর্বল অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, লেবাননের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙার সুযোগ এসেছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটি কোনও প্রেসিডেন্ট নেই। এর ফলে লেবাননের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে লেবানিজ মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৯৭ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিয়েছে এবং বর্তমান সংঘাত মোকাবিলায় সরকারকে অক্ষম করে ফেলেছে।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট ১২৮ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্ট রয়েছে। তবে কোনও পক্ষই এককভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য যথেষ্ট আসন সংখ্যা পায় না। এ জন্য হিজবুল্লাহ ও গোষ্ঠীটির মিত্রদের সমর্থন প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই লেবানন হিজবুল্লাহর গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসুক— শুধু গ্রাস নয়, আমরা চাই হিজবুল্লাহর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতাও ছিন্ন করা হোক।’

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কাতার, মিসর ও সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি লেবাননে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার পরিকল্পনায় সমর্থন আদায় করতে চেষ্টা করেছেন। সৌদি আরব এই পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছে। তবে মিসর ও কাতার এই পরিকল্পনাকে অবাস্তব এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না এবং তাই গোষ্ঠীটিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে সংঘাতের অবসানের জন্য।

লেবাননের ভেতরেও অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচেষ্টা করা হলে দেশটি আবারও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে, যেমনটা অতীতে হয়েছে। মিসরও এই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে ক্ষমতায় আসা কেউ বৈধতা অর্জন করতে পারবেন না এবং লেবাননের জনগণ ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তীব্র ক্ষোভের মুখোমুখি হবেন।

বৈরুতের পার্লামেন্টে সদস্য ও সংস্কারপন্থি নেতা ইব্রাহিম বলেন, আমাদের কোনও নেতৃত্ব নেই যা অন্তত একটি পথ শুরু করতে পারে যেখানে আমরা সংকটের শেষ দেখতে পারি।

হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত আমোস হকস্টেইন আরব নেতাদের বলেছেন যে, হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় লেবাননের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের সুযোগ এসেছে।

একটি শিয়া গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন পার্লামেন্টের স্পিকার বেরি। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে তিনি ভূমিকা রাখছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন কূটনীতিকরা। যদিও বেরি ও মিকাতি দুজনেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পক্ষে রয়েছেন। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর লড়াইকে সমর্থনও জানিয়েছেন।

হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ জীবিত নেতা উপ-মহাসচিব নাঈম কাসেম এই সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধ চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক পুনর্গঠনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি বেরির যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার সমর্থন করেছেন। যদিও তিনি তার সংগঠনের কোনও শর্ত উল্লেখ করেননি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার লেবাননের জনগণকে হিজবুল্লাহকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে গেছে।

লেবাননের জনগণের উদ্দেশে ইংরেজি ভাষায় এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আপনারা লেবাননকে রক্ষা করার একটি সুযোগ পেয়েছেন। যাতে করে এটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের গহ্বরে না পড়ে। এমনটি হলে ধ্বংস ও ভোগান্তি ডেকে আনবে, যেমন আমরা গাজায় দেখছি। এটি এমনই হতে হবে তা নয়। আপনারা দেশকে হিজবুল্লাহ থেকে মুক্ত করুন, যাতে আপনার দেশ আবারও সমৃদ্ধ হতে পারে, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের লেবানিজ এবং ইসরায়েলি শিশু যুদ্ধ বা রক্তপাতের মধ্যে নয়, শান্তিতে বসবাস করতে পারে।’

হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে গত বছরের ৭ অক্টোবর। ওই দিনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জবাবে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ শিশু ও নারী।

৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে হিজবুল্লাহ বাহিনী প্রতিদিনই ইসরায়েলি সীমান্তে বিভিন্ন সামরিক অবস্থান এবং সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ইসরায়েলও পাল্টা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে দেশটি।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত