নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কেন্দুয়া পৌর শহরের পৃথক পৃথক স্থানে এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এর মধ্যে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে উপজেলা যুবদলের ব্যানারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ আলমগীর খসরু। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আতাউল হক মিন্টুর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মজনু রহমান খন্দকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সনজুর রহমান ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম মাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাফিন আহমেদ ভূঁইয়া ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। শেষে পৌর শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে বিকালে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উপজেলা যুবদলের ব্যানারে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে আরেকটি গ্রুপ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব এম নাজমুল হাসান। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ মতিন রুমেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক রবিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বলাইশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী আকবর তালুকদার মল্লিক, উপজেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি মুখলেছুর রহমান বাবলু প্রমুখ। শেষে পৌর শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
অপরদিকে, বিকালে উপজেলা যুবদলের অন্য একটি গ্রুপ উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম খান শান্তির সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূঞা মজনু, পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন খান প্রমুখ। সভা শেষে পৌর শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির কোনও পক্ষের দায়িত্বশীল নেতারা।