বুকজ্বলা, গ্যাস ও পেট ফাঁপা – এগুলো এখন ঘরে ঘরে নিত্যদিনের সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় মসলাদার খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস কিংবা মানসিক চাপ এগুলোকে আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সাবধান! কখনো কখনো এই সাধারণ অস্বস্তিই হতে পারে মারাত্মক রোগ পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্কতা সংকেত।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে পাকস্থলীর ক্যান্সারের আলাদা করে লক্ষণ ধরা পড়ে না। ফলে অনেক সময় রোগীরা গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি ভেবে অবহেলা করেন। অথচ কিছু বিশেষ উপসর্গ সতর্কবার্তা দিতে পারে।
১. হালকা খাবারের পরেও পেট ভারী লাগা
খুব বেশি না খেলেও যদি পেট অস্বাভাবিকভাবে ভারী লাগে এবং ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে, তবে বিষয়টি অবহেলা করা ঠিক নয়। এটি পাকস্থলীর ভেতরে টিউমারের কারণে জায়গা সংকুচিত হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
২. ছড়িয়ে পড়া ব্যথা
সাধারণ বুকজ্বলায় জ্বালাপোড়া থাকে বুকে বা পেটের উপরের অংশে। কিন্তু পাকস্থলীর ক্যান্সারের ব্যথা ভিন্ন ধরনের হয়—এটি অনেক সময় পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিস্তেজ, যন্ত্রণাদায়ক ব্যথায় রূপ নেয়।
৩. স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ঘন ঘন বমি বমি ভাব
ভারী বা তৈলাক্ত খাবার না খেলেও যদি বারবার বমি বমি লাগে এবং ক্ষুধা কমে যায়, তবে এটি পাকস্থলীর আস্তরণে গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
৪. মলের রঙ বা গন্ধের পরিবর্তন
অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের কারণে মল অনেক সময় গাঢ়, আঠালো বা আলকাতরার মতো হতে পারে। অস্বাভাবিক গন্ধও দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণ গ্যাস্ট্রিক নয়, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. ভিন্ন অনুভূতিযুক্ত ঢেকুর তোলা
খাওয়ার পর ঢেকুর স্বাভাবিক। তবে যদি ঢেকুর অস্বাভাবিকভাবে ঘন ঘন হয়, এর সাথে টক স্বাদ, ধাতব গন্ধ বা হালকা বমি হয়, তবে এটি হজমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় টিউমারের বাধার কারণে হতে পারে।