হাবিবুর রহমান ও সুমি বেগমের দাম্পত্য জীবনে সন্তানের জন্য ছিলো অধির অপেক্ষা। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও সন্তান না হওয়ায় রীতিমতো হতাশ হয়েছিলেন এই দম্পতি। ছুটেছেন চিকিৎসক ও কবিরাজের কাছে। অবশেষে তাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। ৫ বছর পর এক সঙ্গে ৩ সন্তান প্রসব করে সকলকে খুশির বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন সুমি। যশোর শহরের বেসরকারি একতা হসপিটালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানদের জন্ম দেন তিনি। অস্ত্রোপচার করেছেন যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. ইলা মন্ডল।
স্বজনরা জানান, দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘ দিন সন্তান না হওয়ায় তাদের মন খারাপ থাকতো। সন্তান লাভের আশায় সুমিকে বিভিন্ন চিকিৎসক ও কবিরাজের কাছে ছুটেছেন। সর্বশেষ গাইনী চিকিৎসক ইলা মন্ডলের স্বরনাপন্ন হয়েছিলেন। এরই মধ্যে আল্লাহর রহমতে সুমি গর্ভে সন্তান লাভ করে। প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে একতা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে সুমির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেন ডা. ইলা মন্ডল।
এ সময় তিনি একসঙ্গে ৩ সন্তান প্রসব করেন। এরমধ্যে দুই মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদরে সকলের ওজন ২ কেজির ওপরে।
বিয়ের দীর্ঘদিন পর এক সঙ্গে ৩ সন্তান প্রসব করায় তাদের পরিবারে খুশির বন্যা বইছে। সুমি বেগম যশোরের শার্শা উপজেলার আমলাই গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।
ডা.ইলা মন্ডল জানান, ৩ সন্তান ও তাদের মা শারমিন সুস্থ আছে। তদের সকলের ওজন ২ কেজির বেশি। চিকিৎসা জীবনে এই অস্ত্রোপচার তার একটি সাফল্য। মা ও সন্তানেরা সুস্থ থাকায় তিনি বেশ খুশি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের মমতা দিয়ে সন্তানদের ঘিরে রেখেছেন সুমি। পাশে রয়েছেন ৩ সন্তানের জনক। নবজাতকদের দেখতে অন্য রোগীর স্বজনসহ উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
সুমি জানান, একসঙ্গে ৩ সন্তান জন্ম দিনে তার অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। একটি সন্তানের জন্য তিনি কোথা না কোথা ছুটেছে। আল্লাহ একসঙ্গে ৩ সন্তান দান করে তার কোল ভরে দিয়েছেন। হাবিবুর রহমান জানান, এর চেয়ে আর বড় পাওয়া কি হতে পারে। তিনিসহ সকল আত্মীয় স্বজনের মাঝে আননন্দ বিরাজ করছে। সন্তানদের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন এই দম্পতি। তারা ডা. ইলা মন্ডলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।