যশোরে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যু বাড়লেও থেমে নেই বিক্রি

,
যশোরে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যু বাড়লেও থেমে নেই বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত

বিষাক্ত মদের ছোবলে বিভিন্নস্থানে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও যশোরে মাদককারবারীরা থেমে নেই। বিশেষ করে শহরের বড় বাজারের ঝালাইপট্টি বাবুবাজার এলাকায় ৭ সদস্যের সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত মদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, মদ বিকিকিনি সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদ বিক্রি সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে আনারুল, ছোট মহসিন, রশিদ, রাসেল, সেলিম, শাহীন ও টাকুয়া। অত্যন্ত সুকৌশলে মাদক বিক্রি করছে তারা। ইতোমধ্যে মাদক সম্রাট আনারুলের সহযোগী এই এলাকার গাঁজা বিক্রেতা সঞ্জয় সাহাকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ৬ মার্চ আটক করে সদর ফাঁড়ি পুলিশ। আনারুল গং দেন দরবার করেও তাকে ছাড়াতে পারেনি। ৭ মার্চ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বাবু বাজার পতিতালয়ের ২ নম্বর গলির এক যৌনকর্মীকে বিয়ের সুবাদে আনারুল দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবস্থান করে ভ্রাম্যমাণভাবে মাদক বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছিল। ওই যৌনকর্মীর ঘরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে নিরাপদে সেখানে মদ রেখে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করছিল। কিন্তু ওই সময় পত্রপত্রিকায় তার গোমর ফাঁস হলে সে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন সেখানে থাকার পর সে আবারো পতিতালয় এলাকায় ফিরে এসে নতুন কৌশলে শুরু করে মদের ব্যবসা। সিদ্ধ ডিম বিক্রির আড়ালে সে প্রতিদিন পতিতালয়ের সামনে ও আশেপাশে মাদক বিক্রি করতো। কিন্তু ইদানিং তার সেই সিস্টেম পরিবর্তন করে মাজায় মদের বোতল আর হাতে পানির বোতল রেখে খদ্দেরদের কাছে রান্না লটপটি সরবরাহ করে। মূলত মদ খাওয়ার জন্য লটপটি সরবরাহ করে থাকে।

মদ আশপাশসহ গোপনস্থান স্বপ্ন পুরী হোটেলের পিছনে কার্নিসের উপরে রেখে খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে।

আরেক সদস্য ছোট মহসীন। সে পতিতালয়ে সামনে দীর্ঘদিন ধরে মাসিক ভিত্তিতে স্বপ্নপূরী হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মাদকের কারবার চালাতো। আনারুলের সাথে যোগ দিয়ে একসাথে এ ব্যবসা করতো। সে মোবাইলের মাধ্যমে খরিদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মদ পৌছে দিতো। আশেপাশেও মদপানের ব্যবস্থা করে দিতো খোরদের। সে নিজেই মদ হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করলেই বাংলামদ চাহিদা অনুযায়ী পৌছে যেত খদ্দেরের বাড়ি অথবা প্রয়োজনীয় স্থানে। পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধেও ওই সময় সংবাদ প্রকাশ হলে গা ঢাকা দেয়। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে পুনরায় পতিতালয় এলাকায় ফিরে পালের গোদা আনারুলের সাথে যোগ দিয়ে মদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ছোট মহসিন স্বপ্নপূরী আবাসিক হোটেলে একটি কক্ষ মাসিক ৬ হাজার টাকা দিয়ে বসবাস করতো । সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পতিতালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে মদ বিক্রি শেষ হলে হোটেলে ঢুকে যেত। সুযোগ বুঝে পতিতালয়ে আসা লোকজনের কাছ থেকেও দালালির নামে প্রতারণা করে থাকে। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়েও লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে পারেনা। ইদানিং আর স্বপ্নপূরি হোটেলে থাকে না কিন্তু তাড়িখানা গলিতে তাকে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য রাসেল ও রশিদ। রাসেল তাড়িখানা গলিতে একটি টোং ঘরে মদ রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খরিদ্দারের সাথে যোগাযোগ করে মদ সরবরাহ করে থাকে। আবার এখানে আসা খরিদ্দারদের কাছেও বিক্রি করে।

আর পতিতালয়ের সামনে আব্দুর রশিদ পুরি সিঙ্গাড়া ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে বাংলামদের কারবার।

সেলিম চায়ের দোকানের আড়ালে বিক্রি করে মদ। তার স্বপ্নপূরী হোটেলের সিঁড়ির নিচে চায়ের দোকানটি অবস্থিত।

একই গলির পাশপাশি টোঙ দোকান ভাড়া নিয়ে পুরির পাশাপাশি মদও সাপ্লাই দিচ্ছে আরেক সদস্য শাহীন।

টাকুয়া ঝালাইপট্টির সামনে বৈদ্যুতিক খাম্বার পাশে কামারের দোকানে বসে বিভিন্ন কায়দায় মাদক সরবরাহ করে থাকে।

এরা মাড়–য়া মন্দির পতিতালয়ের সামনে মদের ডিলারের কর্মচারী গৌর এর কাছ থেকে মদ কিনে আনে। এরপর প্রয়োজন মতো পানির সাথে নেশা ট্যাবলেট মিশিয়ে খদ্দেরদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে থাকে। মদ বিক্রির পাশাপাশি এরা অন্যান্য মাদকও বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিষাক্ত মদ পান করে শহরে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। মদকাণ্ডের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মামলাও হয়। ওই সময় পালের গোদা হাসানসহ অনেকে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। এ সময় বেশকিছুদিন থমকে ছিল মদ ব্যবসা। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মদের ব্যবসা চালায় কয়েকটি সিন্ডিকেট। এরমধ্যে গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামে বিষাক্ত মদ পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মদ বিক্রেতা বাবুলের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। কিন্তু মাদককারবারীরা এখনো দাপটের সাথে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

আনারুলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য ছোট মহসীন, রাসেল, রশিদ, শাহীন, সেলিম, টাকুয়া নানা কৌশলে নতুনভাবে মদের ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের ব্যবসার ধরনও ভিন্ন রকম। প্রথমে বুঝে ওঠার উপায় নেই যে তারা মদের ব্যবসা করছে। এদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় চলে যাচ্ছে বিষাক্ত মদ। আর এই মদ খেয়ে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এর আগের ঘটনাগুলো তদন্ত করলে মদ সরবরাহের ব্যাপারে এদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছে।

এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাবুবাজার ঝালাইপট্টি এলাকায় ওই মাদক বিক্রেতাদের কারণে পরিস্থিতি থাকে উত্তপ্ত। মদ সেবন করে অনেকে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অনেক সময় হাতাহাতি মারামারি পর্যায়ে চলে যায়। যৌন কর্মীরাও তাদের ভয়ে তটস্থ থাকে সবসময়। কিন্তু মুখ খোলার সাহস নেই তাদের। এখানে প্রশাসনের নজরদারি জরুরি বলে তারা দাবি করেছে।

এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঝালাপট্টি বাবু বাজার এলাকার বিষাক্ত মদ বিকিকিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ সোচ্চার আছে। তাদের আটকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশের ডিউটি আরও জোরদার করা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যশোরে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যু বাড়লেও থেমে নেই বিক্রি

যশোরে বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যু বাড়লেও থেমে নেই বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত

বিষাক্ত মদের ছোবলে বিভিন্নস্থানে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও যশোরে মাদককারবারীরা থেমে নেই। বিশেষ করে শহরের বড় বাজারের ঝালাইপট্টি বাবুবাজার এলাকায় ৭ সদস্যের সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত মদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, মদ বিকিকিনি সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিষাক্ত মদ বিক্রি সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছে আনারুল, ছোট মহসিন, রশিদ, রাসেল, সেলিম, শাহীন ও টাকুয়া। অত্যন্ত সুকৌশলে মাদক বিক্রি করছে তারা। ইতোমধ্যে মাদক সম্রাট আনারুলের সহযোগী এই এলাকার গাঁজা বিক্রেতা সঞ্জয় সাহাকে ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ৬ মার্চ আটক করে সদর ফাঁড়ি পুলিশ। আনারুল গং দেন দরবার করেও তাকে ছাড়াতে পারেনি। ৭ মার্চ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, বাবু বাজার পতিতালয়ের ২ নম্বর গলির এক যৌনকর্মীকে বিয়ের সুবাদে আনারুল দীর্ঘদিন ধরে এখানে অবস্থান করে ভ্রাম্যমাণভাবে মাদক বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছিল। ওই যৌনকর্মীর ঘরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে নিরাপদে সেখানে মদ রেখে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করছিল। কিন্তু ওই সময় পত্রপত্রিকায় তার গোমর ফাঁস হলে সে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। কিছুদিন সেখানে থাকার পর সে আবারো পতিতালয় এলাকায় ফিরে এসে নতুন কৌশলে শুরু করে মদের ব্যবসা। সিদ্ধ ডিম বিক্রির আড়ালে সে প্রতিদিন পতিতালয়ের সামনে ও আশেপাশে মাদক বিক্রি করতো। কিন্তু ইদানিং তার সেই সিস্টেম পরিবর্তন করে মাজায় মদের বোতল আর হাতে পানির বোতল রেখে খদ্দেরদের কাছে রান্না লটপটি সরবরাহ করে। মূলত মদ খাওয়ার জন্য লটপটি সরবরাহ করে থাকে।

মদ আশপাশসহ গোপনস্থান স্বপ্ন পুরী হোটেলের পিছনে কার্নিসের উপরে রেখে খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে।

আরেক সদস্য ছোট মহসীন। সে পতিতালয়ে সামনে দীর্ঘদিন ধরে মাসিক ভিত্তিতে স্বপ্নপূরী হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মাদকের কারবার চালাতো। আনারুলের সাথে যোগ দিয়ে একসাথে এ ব্যবসা করতো। সে মোবাইলের মাধ্যমে খরিদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মদ পৌছে দিতো। আশেপাশেও মদপানের ব্যবস্থা করে দিতো খোরদের। সে নিজেই মদ হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা চালু করে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করলেই বাংলামদ চাহিদা অনুযায়ী পৌছে যেত খদ্দেরের বাড়ি অথবা প্রয়োজনীয় স্থানে। পত্রপত্রিকায় তার বিরুদ্ধেও ওই সময় সংবাদ প্রকাশ হলে গা ঢাকা দেয়। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে পুনরায় পতিতালয় এলাকায় ফিরে পালের গোদা আনারুলের সাথে যোগ দিয়ে মদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, ছোট মহসিন স্বপ্নপূরী আবাসিক হোটেলে একটি কক্ষ মাসিক ৬ হাজার টাকা দিয়ে বসবাস করতো । সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পতিতালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে মদ বিক্রি শেষ হলে হোটেলে ঢুকে যেত। সুযোগ বুঝে পতিতালয়ে আসা লোকজনের কাছ থেকেও দালালির নামে প্রতারণা করে থাকে। কিন্তু প্রতারণার শিকার হয়েও লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে পারেনা। ইদানিং আর স্বপ্নপূরি হোটেলে থাকে না কিন্তু তাড়িখানা গলিতে তাকে দেখা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য রাসেল ও রশিদ। রাসেল তাড়িখানা গলিতে একটি টোং ঘরে মদ রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খরিদ্দারের সাথে যোগাযোগ করে মদ সরবরাহ করে থাকে। আবার এখানে আসা খরিদ্দারদের কাছেও বিক্রি করে।

আর পতিতালয়ের সামনে আব্দুর রশিদ পুরি সিঙ্গাড়া ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে বাংলামদের কারবার।

সেলিম চায়ের দোকানের আড়ালে বিক্রি করে মদ। তার স্বপ্নপূরী হোটেলের সিঁড়ির নিচে চায়ের দোকানটি অবস্থিত।

একই গলির পাশপাশি টোঙ দোকান ভাড়া নিয়ে পুরির পাশাপাশি মদও সাপ্লাই দিচ্ছে আরেক সদস্য শাহীন।

টাকুয়া ঝালাইপট্টির সামনে বৈদ্যুতিক খাম্বার পাশে কামারের দোকানে বসে বিভিন্ন কায়দায় মাদক সরবরাহ করে থাকে।

এরা মাড়–য়া মন্দির পতিতালয়ের সামনে মদের ডিলারের কর্মচারী গৌর এর কাছ থেকে মদ কিনে আনে। এরপর প্রয়োজন মতো পানির সাথে নেশা ট্যাবলেট মিশিয়ে খদ্দেরদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে থাকে। মদ বিক্রির পাশাপাশি এরা অন্যান্য মাদকও বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিষাক্ত মদ পান করে শহরে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। মদকাণ্ডের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মামলাও হয়। ওই সময় পালের গোদা হাসানসহ অনেকে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে। এ সময় বেশকিছুদিন থমকে ছিল মদ ব্যবসা। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় মদের ব্যবসা চালায় কয়েকটি সিন্ডিকেট। এরমধ্যে গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামে বিষাক্ত মদ পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মদ বিক্রেতা বাবুলের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। কিন্তু মাদককারবারীরা এখনো দাপটের সাথে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

আনারুলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য ছোট মহসীন, রাসেল, রশিদ, শাহীন, সেলিম, টাকুয়া নানা কৌশলে নতুনভাবে মদের ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের ব্যবসার ধরনও ভিন্ন রকম। প্রথমে বুঝে ওঠার উপায় নেই যে তারা মদের ব্যবসা করছে। এদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় চলে যাচ্ছে বিষাক্ত মদ। আর এই মদ খেয়ে মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এর আগের ঘটনাগুলো তদন্ত করলে মদ সরবরাহের ব্যাপারে এদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছে।

এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাবুবাজার ঝালাইপট্টি এলাকায় ওই মাদক বিক্রেতাদের কারণে পরিস্থিতি থাকে উত্তপ্ত। মদ সেবন করে অনেকে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অনেক সময় হাতাহাতি মারামারি পর্যায়ে চলে যায়। যৌন কর্মীরাও তাদের ভয়ে তটস্থ থাকে সবসময়। কিন্তু মুখ খোলার সাহস নেই তাদের। এখানে প্রশাসনের নজরদারি জরুরি বলে তারা দাবি করেছে।

এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঝালাপট্টি বাবু বাজার এলাকার বিষাক্ত মদ বিকিকিনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ সোচ্চার আছে। তাদের আটকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশের ডিউটি আরও জোরদার করা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত