যশোরে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা

,
যশোরে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ ক্রেতার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেইলর যশোর শোরুমের কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) যশোর নতুন উপশহর এ ব্লকের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাফায়েত হোসেন এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনি।

আসামিরা হলো, যশোর মুজিব সড়কের সেইলর শো-রুমের ম্যানেজার পারভেজ আলম, সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফ আহম্মেদ, ঢাকার চীফ অপারেটিং অফিসার রেজাউল কবীর, বরিশাল উজিরপুরের খাটিয়ালপাড়া গ্রামের মুনসুর খানের ছেলে ইমাম হোসেন, দিনাজপুর উপশহরের ৬/এ এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, সদরের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের লক্ষীনাথ রায়ের ছেলে রাজেন্দ্র নাথ রায়, খানপুর বোয়ালমারি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান, বেদগাড়ি গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সাজির হোসেন, খানপুর মঞ্জুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোস্তফা আলী, নারায়নগঞ্জ সদরের নোয়াপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন অন্তর, পশ্চিম দেওতারা বাংলা বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের আবু সাইদ শাওন, আলম খাঁন লেনের কারীপদ পালের মেয়ে রানু রানী পাল, এলএনসি মিলস এলাকার মান্না বেপারীরর ছেলে আল আমিন, খুলনা দিঘলিয়ার আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মতিয়ার রহমান, মাদারীপুর শিবচরের পাঁচ্চর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে গোলাম কিবরিয়া ও পটুয়াখালি বাউফলের মহাসেন উদ্দিন গ্রামের আব্দুর সাত্তার মৃধার ছেলে আনোয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর দড়াটানাস্থ ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ও যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কারবালার রওশন জাহান সুমি শহরের মুজিব সড়কে অবস্থি সেইলর শোরুমের ক্রেতা। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন মুজিব সড়কের সেইলর শোরুম থেকে পোষাক ক্রয় করেন। এ সময় তিনি মূল্য পরিশোধের জন্য সেলস অফিসার আরিফ আহম্মেদের কাছে ব্যক্তিগত ইবিএল কার্ড প্রদান করেন। পাশে বসে থাকা ম্যানেজার পারভেজ আলম কার্ড নিয়ে নানা অজুহাতে ১৫ মিনিট সময় ক্ষেপন করেন। এসময় সময় ক্ষেপনের কারণ জানতে চাইলে ম্যানেজার ও সেলস অফিসার কোন সদুত্তর দেননি। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোনে সেইলরের কর্মকর্তা পরিচয়ে ডাক্তার শাফায়েতকে জানান, তার ইবিএল কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনটি সঠিক হয়নি। অপর প্রান্ত থেকে আরও জাননো হয়, সেইলর কর্তৃপক্ষ ইবিএল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন, ইবিএল কর্তৃপক্ষ আপনাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাবে বলে ফোন কেটে দেন। এরপর ইবিএল কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন ফোন দিয়ে জানায়, তার ইবিএল কার্ডটি স্থগিত করা হয়েছে। কার্ডটি চালু করতে কার্ড নম্বর, সিকিউরিটি নম্বর, ও তার পাঠানো ওপিটি নম্বর জানতে চান। ডা. শাফায়েত তাকে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করেন। এদিন রাত ৮টা থেকে ৮টা ১০ মিনিটের মধ্যে তার হিসাব নম্বর থেকে ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা সেন্ট হয়ে যায়। যা সেইলরকে লিংক হিসেবে বিকাশকে গ্টেওয়ে হিসাবে ব্যহবার করে আসামি ইমাম হোসেন তার সহযোগী রাজেন্দ্র নাথ, ইমরান, মতিয়ার, জিয়াউর, আবু সাইদ, গোলাম কিবরিয়া, সাজির হোসেন, রানু রানী, রবিউল, মোস্তফা ও আনোয়ারের হিসাব নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়টি সেইলর অফিসে যেয়ে জানালে তারা গুরুত্ব না দিতে তাড়িয়ে দেন। এরপর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ইস্টার্ণ ব্যাংকে যেয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে স্টেটমেন্ট উঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের বিষয়টি নিশ্চিত হন। তাৎক্ষণিক বিকাশের আইন বিভাগে অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ টাকা ট্রান্সফার হওয়া ৭টি হিসাব ফ্রিজ করে দেন। আসামিরা একই ভাবে যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহরের কারবালার রওশন জাহান সুমিসহ ১৮ জন সেলইল শোরুমের ক্রেতার ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইলর শোরুমে অভিযোগ দিলে তার বিষয়টি আমলে নেননি। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে শোরুমের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় প্রতারকরা ওই টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইলর কৃর্তপক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যশোরে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা

যশোরে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ১৮ ক্রেতার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সেইলর যশোর শোরুমের কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) যশোর নতুন উপশহর এ ব্লকের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাফায়েত হোসেন এ মামলা করেছেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবির হোসেন জনি।

আসামিরা হলো, যশোর মুজিব সড়কের সেইলর শো-রুমের ম্যানেজার পারভেজ আলম, সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার আরিফ আহম্মেদ, ঢাকার চীফ অপারেটিং অফিসার রেজাউল কবীর, বরিশাল উজিরপুরের খাটিয়ালপাড়া গ্রামের মুনসুর খানের ছেলে ইমাম হোসেন, দিনাজপুর উপশহরের ৬/এ এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম, সদরের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের লক্ষীনাথ রায়ের ছেলে রাজেন্দ্র নাথ রায়, খানপুর বোয়ালমারি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান, বেদগাড়ি গ্রামের আজহার আলীর ছেলে সাজির হোসেন, খানপুর মঞ্জুরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোস্তফা আলী, নারায়নগঞ্জ সদরের নোয়াপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন অন্তর, পশ্চিম দেওতারা বাংলা বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের আবু সাইদ শাওন, আলম খাঁন লেনের কারীপদ পালের মেয়ে রানু রানী পাল, এলএনসি মিলস এলাকার মান্না বেপারীরর ছেলে আল আমিন, খুলনা দিঘলিয়ার আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মতিয়ার রহমান, মাদারীপুর শিবচরের পাঁচ্চর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে গোলাম কিবরিয়া ও পটুয়াখালি বাউফলের মহাসেন উদ্দিন গ্রামের আব্দুর সাত্তার মৃধার ছেলে আনোয়ার হোসেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর দড়াটানাস্থ ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ও যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কারবালার রওশন জাহান সুমি শহরের মুজিব সড়কে অবস্থি সেইলর শোরুমের ক্রেতা। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন মুজিব সড়কের সেইলর শোরুম থেকে পোষাক ক্রয় করেন। এ সময় তিনি মূল্য পরিশোধের জন্য সেলস অফিসার আরিফ আহম্মেদের কাছে ব্যক্তিগত ইবিএল কার্ড প্রদান করেন। পাশে বসে থাকা ম্যানেজার পারভেজ আলম কার্ড নিয়ে নানা অজুহাতে ১৫ মিনিট সময় ক্ষেপন করেন। এসময় সময় ক্ষেপনের কারণ জানতে চাইলে ম্যানেজার ও সেলস অফিসার কোন সদুত্তর দেননি। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফোনে সেইলরের কর্মকর্তা পরিচয়ে ডাক্তার শাফায়েতকে জানান, তার ইবিএল কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনটি সঠিক হয়নি। অপর প্রান্ত থেকে আরও জাননো হয়, সেইলর কর্তৃপক্ষ ইবিএল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন, ইবিএল কর্তৃপক্ষ আপনাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাবে বলে ফোন কেটে দেন। এরপর ইবিএল কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন ফোন দিয়ে জানায়, তার ইবিএল কার্ডটি স্থগিত করা হয়েছে। কার্ডটি চালু করতে কার্ড নম্বর, সিকিউরিটি নম্বর, ও তার পাঠানো ওপিটি নম্বর জানতে চান। ডা. শাফায়েত তাকে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করেন। এদিন রাত ৮টা থেকে ৮টা ১০ মিনিটের মধ্যে তার হিসাব নম্বর থেকে ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা সেন্ট হয়ে যায়। যা সেইলরকে লিংক হিসেবে বিকাশকে গ্টেওয়ে হিসাবে ব্যহবার করে আসামি ইমাম হোসেন তার সহযোগী রাজেন্দ্র নাথ, ইমরান, মতিয়ার, জিয়াউর, আবু সাইদ, গোলাম কিবরিয়া, সাজির হোসেন, রানু রানী, রবিউল, মোস্তফা ও আনোয়ারের হিসাব নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয়। এ বিষয়টি সেইলর অফিসে যেয়ে জানালে তারা গুরুত্ব না দিতে তাড়িয়ে দেন। এরপর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ইস্টার্ণ ব্যাংকে যেয়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে স্টেটমেন্ট উঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের বিষয়টি নিশ্চিত হন। তাৎক্ষণিক বিকাশের আইন বিভাগে অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ টাকা ট্রান্সফার হওয়া ৭টি হিসাব ফ্রিজ করে দেন। আসামিরা একই ভাবে যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহরের কারবালার রওশন জাহান সুমিসহ ১৮ জন সেলইল শোরুমের ক্রেতার ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইলর শোরুমে অভিযোগ দিলে তার বিষয়টি আমলে নেননি। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে শোরুমের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় প্রতারকরা ওই টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইলর কৃর্তপক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত