কক্সবাজারের টেকনাফে এক ছাত্রসহ অপহরণ হওয়া ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।
অপহৃতরা হলেন- টেকনাফের জাহাজপুরা এলাকার হায়দার আলীর ছেলে রশিদ আলম, ইসহাকের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জাফর আলমের ছেলে জাবরুল ইসলাম, বশির আহমেদের ছেলে ফজল করিম, নজির আহমেদের ছেলে আরিফ উল্লাহ, হায়দার আলীর ছেলে জাফর আলম ও জাফর আলমের ছেলে জয়নুল ইসলাম। এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
অপহৃতদের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, অপহৃতরা ভোরে ধান চাষ ও ক্ষেতে কাজ করতে গেলে অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদেরকে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ৯ জনকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে গেলে ৯ জনের মধ্যে ২ শিশু পালিয়ে আসে কৌশলে। অপহরণকারীরা সাতজনের প্রত্যেকের জন্য লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, ছাত্রসহ অপহৃতদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।