রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার উপায়

,
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার উপায়
ছবি: ইন্টারনেট

ডায়াবেটিস রোগীদের এমনিতেই সতর্কতার সাথে জীবনযাপন করতে হয়। বিশেষ করে খাবার-দাবারে রাখতে হয় সাবধানতা। রহমতের মাসে ডায়াবেটিস এর রোগীরাও আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে রোজা রাখে। কিন্তু অনেকেই অসুস্থ হয়ে যান। যার ফলে রোজা সবগুলো রাখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে:

– ডায়াবেটিস রোগীদের সারা দিন রোজা রাখার পর এমন খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

-ইফতারের সময় চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। চিনিুমক্ত পানীয় বেছে নিন। পানীয়র সঙ্গে চিনি মেশাবেন না। যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করে থাকেন, তবে আর্টিফিশিয়াল (ডায়াবেটিসের চিনি) সু্ইটনার, যেমন: ক্যানডেরেল বা সুইটেক্স ব্যবহার করতে পারেন।

-ভাজা খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। যেমন: পরোটা, সমুচা, কাবাব ইত্যাদি।

-খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার রাখুন।

-সেহরির খাবার শেষ সময়ের অল্প কিছু আগে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। সেহরির সময় নামমাত্র পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। এমনটি করলে আপনার গ্লুকোজের সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকবে না।

-রোজার দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই, তবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা উচিত। রোজার সময় তারাবিহর নামাজে যে শারীরিক শ্রম হয়, নিয়মিত হাঁটার সমান হওয়ায় রোজার মধ্যে আলাদা করে হাঁটার প্রয়োজন নেই।

-রোজার দিনে বিকেলে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ না করে বিশ্রাম নেয়া ভালো।
রোজা রেখে ইনসুলিন নেয়া যাবে।

– ডায়াবেটিস রোগীর সকালের ওষুধ ইফতারের সময় খেতে হবে। রাতের ওষুধ খেতে হবে সেহরির সময় । মুখে খাবার ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে এবং তা অবশ্যই রোজার আগেই করতে হবে।

-এছাড়া রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা কম বা বেশি হলে এমনকি যেকোনো ধরনের অসুস্থতা বোধ করলেই রোজা ভেঙে ফেলা অবশ্যই উচিত ।

উপরোক্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজার রেখেও সুস্থ থাকতে পারবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার উপায়

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ থাকার উপায়
ছবি: ইন্টারনেট

ডায়াবেটিস রোগীদের এমনিতেই সতর্কতার সাথে জীবনযাপন করতে হয়। বিশেষ করে খাবার-দাবারে রাখতে হয় সাবধানতা। রহমতের মাসে ডায়াবেটিস এর রোগীরাও আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে রোজা রাখে। কিন্তু অনেকেই অসুস্থ হয়ে যান। যার ফলে রোজা সবগুলো রাখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে:

– ডায়াবেটিস রোগীদের সারা দিন রোজা রাখার পর এমন খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

-ইফতারের সময় চিনিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। চিনিুমক্ত পানীয় বেছে নিন। পানীয়র সঙ্গে চিনি মেশাবেন না। যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করে থাকেন, তবে আর্টিফিশিয়াল (ডায়াবেটিসের চিনি) সু্ইটনার, যেমন: ক্যানডেরেল বা সুইটেক্স ব্যবহার করতে পারেন।

-ভাজা খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। যেমন: পরোটা, সমুচা, কাবাব ইত্যাদি।

-খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার রাখুন।

-সেহরির খাবার শেষ সময়ের অল্প কিছু আগে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। সেহরির সময় নামমাত্র পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। এমনটি করলে আপনার গ্লুকোজের সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকবে না।

-রোজার দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই, তবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা উচিত। রোজার সময় তারাবিহর নামাজে যে শারীরিক শ্রম হয়, নিয়মিত হাঁটার সমান হওয়ায় রোজার মধ্যে আলাদা করে হাঁটার প্রয়োজন নেই।

-রোজার দিনে বিকেলে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ না করে বিশ্রাম নেয়া ভালো।
রোজা রেখে ইনসুলিন নেয়া যাবে।

– ডায়াবেটিস রোগীর সকালের ওষুধ ইফতারের সময় খেতে হবে। রাতের ওষুধ খেতে হবে সেহরির সময় । মুখে খাবার ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে এবং তা অবশ্যই রোজার আগেই করতে হবে।

-এছাড়া রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা কম বা বেশি হলে এমনকি যেকোনো ধরনের অসুস্থতা বোধ করলেই রোজা ভেঙে ফেলা অবশ্যই উচিত ।

উপরোক্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলে ডায়াবেটিস রোগীরা রোজার রেখেও সুস্থ থাকতে পারবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত