যশোরে আলাদা ঘটনায় নাহিদ ও ইউনুস আলী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোতয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে মামলা দুটি করেন যথাক্রমে নিহত নাহিদের বাবা রেজাউল ইসলাম বাচ্চু এবং নিহত ইউনুছের স্ত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন।
জানাগেছে, নাহিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকার ৪ চিহ্নিত যুবকের নাম রয়েছে। তবে আসামিদের নাম পরিচয় শনিবার রাতে জানা যায়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছে, ওই চারজনের মধ্যে কয়েকজন আটক হয়েছে। কিন্তু পুলিশের কোনো পক্ষ আটকের তথ্য নিশ্চিত করেনি।
অন্যদিকে ইউনুছ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছোট ভাই ইউসুফকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এই মামলায় ইউসুফ আলীকে আটকের তথ্য জানাগেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি।
থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাহিদ হত্যা মামলাটি তদন্ত করবে যশোর ডিবি পুলিশ। আর ইউনুছ আলী হত্যা মামলার তদন্ত করবে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
এ দিকে এই বিষয়ে জানতে কথা হয়েছিল কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরীর সাথে। তিনি জানিয়েছেন, হত্যাকান্ড বিষয়ে পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তথ্য দিবেন। আজ (রোববার) ২ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে এই দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের দফতরে আনুষ্ঠানিক প্রেসব্রিফিং হতে পারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে ঘুরুলিয়া গ্রামে বড় ভাই ইউনুসের বউয়ের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ইউসুফ। এ সময় তিনি ভাবিকে গালমন্দ করেন। পরে ইউনুস বাড়িতে আসলে বউ ঘটনাটি তাকে জানায়। রাত ৮ টার দিকে ছোট ভাই ইউসুফের কাছে ভাবিকে গালমন্দের কারণ জানতে চাইলে তিনি বড় ভাইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ সময় দুই ভাই গোলযোগে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ইউসুফ বড় ভাই ইউনুসকে ছুরিকাঘাত করে।এতে ইউনুস মারাত্মক জখম হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইউনুস নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো।
রাত ৯ টার দিকে শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার তমালতলার শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমীর পাশে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয় কিশোর নাহিদ (১৬)।
নিহতের চাচাতো ভাই হাসিবের দেয়া তথ্য মতে, বর্তমানে নাহিদ বড় ভাই বোরহানের পার্টসের দোকানে (বোরহান অটো) থাকে। ঘটনার রাতে নাহিদ ও তার দুই বন্ধু শফিয়ার রহমান মডেল একাডেমীর পাশে বসে ছিলো। এ সময় বারান্দীপাড়ার কয়েকজন দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে মারপিট করে । পরে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
হাসিব জানান, নাহিদ এক সময় শফিয়ার রহমান মডেল স্কুলের ছাত্র ছিলো। বছর খানেক আগে স্কুলে ছবি তোলা নিয়ে বারান্দীপাড়ার কয়েকজনের সাথে গোলযোগ হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা নাহিদকে খুন করে ।