বরগুনার তালতলীতে হাত-মুখ বেঁধে এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার(৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার মঠখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এনায়েত পিয়াদা ছোটবগী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মঠখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন স্বামী পরিত্যাক্তা নারী। দীর্ঘ দিন যাবত ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা ঐ নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ার জেরে শনিবার(৮ এপ্রিল) রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ইউপি সদস্যসহ ৫-৬ জন লোক মাটি খুড়ে (সিং খুড়ে) ঐ মহিলার ঘরে প্রবেশ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঐ নারীর হাত-মুখ ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে অন্য রুমে থাকা তার ভাইকে (তৃতীয় লিঙ্গ) বেধে ঐ নারীকে ইউপি সদস্যসহ তিন জন মিলে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে ঐ নারীর মেয়ে ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখে ফেলায় ও ডাকচিৎকার করায় সবাই পালিয়ে পায়। যাওয়ার সময় ঘড়ে থাকা ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঐ নারীকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় ইউপি সদস্য সহ অজ্ঞাত চার জনকে আসামি করে তালতলী থানায় মামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ঐ নারীর ভাই( তৃতীয় লিঙ্গ) বলেন, ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদার নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ দল আমাকেও আমার বোনের মেয়েকে হাত-পা বেঁধে একটি রুমে আটকে রাখে। অন্য একটি রুমে আমার বোনকে ধর্ষণ করে, যা আমি তাদের ধস্তা ধস্তির শব্দে অনুমান করি।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। ইউপি সদস্য এনায়েত আমার বিয়ের আগে থেকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে আমি রাজি না হওয়াতে আজ রাতে মাটি ঘুড়ে আমার ঘড়ে ঢুকে আমার হাতমুখ ও পা বেধে ইউপি সদস্যসহ তিন জন লোক আমাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। এই বিষয়টি কোথাও বললে আমার ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়ে যায় তারা। তবে ইউপি সদস্য ছাড়া কাউকে চিনি না। আমি বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা বলেন, এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব করতেছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে । মামলায় ইউপি সদস্য সহ চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে । মামলার বাদীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।