কক্সবাজারের রামুতে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। চারদিনের ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।
চট্রগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের রামু উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় লাশের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এতে করে সচেতন নাগরিকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। চলতি মাসের ৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যেই পৃথকভাবে এই তিনটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানবাহনের অতিরিক্ত গতি এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণেই এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেশি।
এদিকে ফের রামুতে মিনি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপরদিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছে। এতে টমটমে থাকা আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছে৷ নিহত অটোরিকশা চালক হলেন রামু পানির ছড়া মুরা পাড়া গ্রামের তৈয়ম গোলামের ছেলে মোঃ হাসান (২৫)। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার -চট্রগ্রাম মহাসড়কের রামু রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া নামক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মাছ বোঝাই মিনি পিকআপ পানির ছড়া এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপরদিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িগুলো জব্দ করে রামু ক্রসিং হাইওয়ে তুলা বাগানে রাখা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় অজ্ঞাত একটি গাড়ি সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক ও যাত্রীসহ তিন জন নিহত হন। তারপর শনিবার (৮ এপ্রিল) রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চা বাগান স্টেশনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক হাফেজ গুরতর আহত হন। পরে রাত ১২টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে চারদিনের ব্যবধানে রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।