ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

অভিশেখ চন্দ্র রায় জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

সরকারের দেওয়া দরিদ্র মা’দের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের এক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। মাসের পর মাস ধর্না দেয়ার পর টাকা না পেয়ে হয়রানী আর ভোগান্তির শিকার হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা।

দুই সন্তানের জননী জয়ন্তী রানী। শ্রমিক স্বামীর আয় আর বাড়িতেই সময় অসময়ে সেলাই কাজের উপার্জিত সামান্য অর্থে চলে অভাবের সংসার। শুধু জয়ন্তী রানী নয়, তার মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের সালমা, সুমী ও জেসমিন আক্তারের পরিবারের দিন কাটে অভাব অনটনে। এমন অনেক অসহায় পরিবারকে সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে সরকার। যার অর্থ আসে ইউসিবি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যেমে। কিন্তু সহজ সরল এসব পরিবারের সুবিধাভোগীদের ভুল বুঝিয়ে মোবাইলের পাসওর্য়াড ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নারগুন ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও ইউসিবি ব্যাংকের এজেন্ট ফজলে এলাহী (বাবু)।

এরই মধ্যে সুবিধাভোগীদের কয়েকশ নারীর সাত থেকে আট লাখ টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা হাতিয়ে নিয়েছে ওই উদ্যোগতা। আর টাকা উদ্ধারে প্রতিদিনিই ইউনিয়ন পরিষদে ভীড় করছেন ভুক্তভোগী নারীরা। লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে টাকা আত্মসাতের পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই উদ্যোগতা। ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করে বলেন, মাসের পর মাস ধর্না দিলেও প্রশাসন সেই উদ্যোগতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা গরীব বলেই সরকার আমাদের টাকা দিচ্ছেন। আর সেই টাকা আত্মসাত করে ঘুরে বেড়াচ্ছে উদ্যোগতা ফজলে এলাহী বাবু। আমরা চাই তাকে আইনের আওতায় এনে টাকা আদায় করা হোক। মাতৃত্বকালীন অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দ্রুত সিন্ধান্ত নিয়ে নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম জানান, উদ্যোগতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজুলেশন করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান,কোন মায়ের টাকা যেন আত্মসাত করতে না পারে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যমতে, ২০১০ সালের নভেম্বর সারাদেশে একযোগ ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর থেকে নারগুন ইউনিয়নে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে ফজলে এলাহী (বাবু)।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

সরকারের দেওয়া দরিদ্র মা’দের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের এক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে। মাসের পর মাস ধর্না দেয়ার পর টাকা না পেয়ে হয়রানী আর ভোগান্তির শিকার হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীরা।

দুই সন্তানের জননী জয়ন্তী রানী। শ্রমিক স্বামীর আয় আর বাড়িতেই সময় অসময়ে সেলাই কাজের উপার্জিত সামান্য অর্থে চলে অভাবের সংসার। শুধু জয়ন্তী রানী নয়, তার মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের সালমা, সুমী ও জেসমিন আক্তারের পরিবারের দিন কাটে অভাব অনটনে। এমন অনেক অসহায় পরিবারকে সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করছে সরকার। যার অর্থ আসে ইউসিবি এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যেমে। কিন্তু সহজ সরল এসব পরিবারের সুবিধাভোগীদের ভুল বুঝিয়ে মোবাইলের পাসওর্য়াড ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে নারগুন ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও ইউসিবি ব্যাংকের এজেন্ট ফজলে এলাহী (বাবু)।

এরই মধ্যে সুবিধাভোগীদের কয়েকশ নারীর সাত থেকে আট লাখ টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা হাতিয়ে নিয়েছে ওই উদ্যোগতা। আর টাকা উদ্ধারে প্রতিদিনিই ইউনিয়ন পরিষদে ভীড় করছেন ভুক্তভোগী নারীরা। লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে টাকা আত্মসাতের পর থেকে পলাতক রয়েছে ওই উদ্যোগতা। ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করে বলেন, মাসের পর মাস ধর্না দিলেও প্রশাসন সেই উদ্যোগতার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা গরীব বলেই সরকার আমাদের টাকা দিচ্ছেন। আর সেই টাকা আত্মসাত করে ঘুরে বেড়াচ্ছে উদ্যোগতা ফজলে এলাহী বাবু। আমরা চাই তাকে আইনের আওতায় এনে টাকা আদায় করা হোক। মাতৃত্বকালীন অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দ্রুত সিন্ধান্ত নিয়ে নারগুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম জানান, উদ্যোগতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেজুলেশন করে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান,কোন মায়ের টাকা যেন আত্মসাত করতে না পারে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যমতে, ২০১০ সালের নভেম্বর সারাদেশে একযোগ ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী। উদ্বোধনের পর থেকে নারগুন ইউনিয়নে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে ফজলে এলাহী (বাবু)।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত