অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভারতে ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’ সংগঠনের খালিস্তানপন্থি নেতা অমৃতপাল সিংকে। আত্মসমর্পণের পর রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পাঞ্জাবের মোগা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অমৃতপাল সিংকে গ্রেপ্তারের পর আসামের দিব্রুগড় কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তার আট সহযোগীও বন্দি রয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে পলাতক ছিলেন অমৃতপাল। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল অমৃতপাল সিংয়ের স্ত্রী কিরণদীপ কৌরকে অমৃতসর বিমানবন্দরে আটক করে পাঞ্জাব পুলিশ। লন্ডনের ফ্লাইট ধরার জন্য বিমানবন্দরে এসেছিলেন কিরণ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফ্লাইট ধরার আগেই তাকে আটকে দেওয়া হয়। পরে তাকে বিমানবন্দরেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ আদতে ব্রিটিশ নাগরিক। কিরণদীপ ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ (বিকেআই) সংগঠনেরও সদস্য ছিলেন। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-কে আর্থিক সহযোগিতা করেন কিরণদীপ এবং বব্বর খালসা সংগঠন। এরই মধ্যে কিরণদীপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ব্রিটিশ সরকার যে সব সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে বব্বর খালসারও নাম রয়েছে। ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকেআইয়ের সদস্য কিরণদীপকে খালিস্তানের সমর্থনে একাধিক র্যালি এবং অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়।
২০২০ সালে সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা এবং বিকেআইয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার অভিযোগে কিরণদীপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। খালিস্তান সমর্থক পরমজিৎ সিংহ পম্মার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে কিরণদীপের।
গত ১৮ মার্চ থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অমৃতপাল সিং। তার খোঁজে পাঞ্জাবের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি, রাজস্থানেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এর আগে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নেমে ১০ এপ্রিল অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী পাপলপ্রীত সিংকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। কিছুদিন পর অমৃতপালের দুই আশ্রয়দাতা রাজদীপ সিং এবং সর্বজিৎ সিংকেও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু বারবার পোশাক ও স্থান বদলে এবং কখনো গোপন স্থান থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে অনুগামীদের উজ্জীবিত করলেও অমৃতপালের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছিল না পাঞ্জাব প্রশাসন।