রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের তালাপ্রশাদ গ্রামের মোল্লা বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
প্রেমিকার বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়েছেন প্রেমিক আলামিন (২৩)। তিনি ওই বাড়ির আবদুর রহমান মোল্লার ছেলে। ভুক্তোভোগী তরুণী একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে। বর্তমানে মেয়েটিকে গ্রাম পুলিশ সদস্য বেল্লাল হোসেনের জিম্মায় রয়েছে। পাশাপাশি ওই মেয়ের এলাকার ইউপি সদস্যকে জানানো হয়েছে।
প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ছেড়ে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
তিনি বলেন, আমি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। মিরপুর-১০-এ একটি ভাড়া বাসায় থাকি। আলামিন ঢাকার একটি কিল্ডারগার্টেনে চাকরি করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে মিরপুরে আলামিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলামিন আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক করে। আমি এখন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি আলামিনকে জানালে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করবে বলে জানায়। তবে বাড়িতে এসে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে। পাশাপাশি সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
ওই তরুণী আরও বলেন, ঈদে গ্রামের বাড়িতে এসে আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তাকে কল দিলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তার বন্ধু পরিচয়ে অন্য একজন ফোন রিসিভ করেন। বন্ধু পরিচয়ের ওই ব্যক্তি আমাকে জানান, আলামিন বিয়ে করবে না, এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ফল ভালো হবে না। পরে বাধ্য হয়ে আলামিনের বাড়িতে এসেছি। এখন বিয়ে না করলে এখানেই প্রাণ যাবে আমার।
অভিযুক্ত আলামিনের বাবা আবদুর রহমান মোল্লা বলেন, আমার ছেলে গত দুই দিন ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। তবে এসব ঘটনার কথা আলামিন আগে কখনও জানায়নি। সকালে ওই মেয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আলামিনের সঙ্গে তার সর্ম্পক আছে এবং তার পেটে আলামিনের সন্তান রয়েছে বলে জানায়। এ কথা শোনার পর থেকে আমরাও আলামিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। কিন্তু পাচ্ছি না। বিষয়টি আমরা স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়েছি।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।