শত কোটি টাকায় খননকৃত ভৈরব মরে যাচ্ছে

,
শত কোটি টাকায় খননকৃত ভৈরব মরে যাচ্ছে
ছবিঃ প্রতিনিধি

একসময় ভৈরবের তীব্র গর্জন শুনতে পেত মানুষ। বড় বড় জাহাজ ভীড়তো এই ভৈরবে। কালের পরিক্রমায় ভৈরব যৌবন হারায়। পুনরায় নদীর যৌবন ফিরাতে ৫ বছর আগে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যায়ে খনন করা হয়। সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে শত কোটি টাকার কাজের লক্ষ্য এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। সঠিকভাবে নদীশাসন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় নদীর দুই পাড়ে দেখাদিয়েছে ভাঙ্গন। পৌর সভার সুয়ারেসের বজ্য এসে পড়ে নদীর তল দেশ উচু হচ্ছে। নদীর বুক জুড়ে এখন কচুরীপানা দখল করেছে। এতে মরে যেতে বসেছে ভেরব।এক সময়ের স্রোত ভৈরবের ভবিষ্যত নিয়ে আবার চিন্তিত পরিবেশবাদী ও নদীপাড়ের মানুষজন।

ভৈরবের বুকে কচুরীপানার আস্তারণ পড়ে যাওয়ায় নদীটি তার জৌলুস হারিয়েছে। কচুরীপানার শুকিয়ে নদীর পানি রং কালো আকার ধারণ করেছে। নোংরা আর্বজনায় স্তুুপ ভৈরবের পানিতে। অনেক স্থানে নোংরা আর্বজনা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অথচ নদীটি খননের পর নদীর বুক ভার পানি ছিল। পানি প্রবাহ বদ্ধি পাওয়ায় স্বচ্ছ টলটলে পানি আর নদী তীরের ফুরফুরে হাওয়ায় আনন্দ নিতে প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণ তরুণী ভীড় করতো নদী তীরে।

নদীর তীরবর্তী যাদবপুর গ্রাম বসবাসরত সিদ্দিীকুর রহমান জানান- কচুরীপানা আর ময়লার কারণে গুমট পরিবেশ তৈরী হয়ে নদী মরে যেতে বসেছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি ভৈরব নদীর পানি প্রবাহ ও নদী সঠিক ভাবে রক্ষা করা গেলে নদীর দুই তীরের প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা ফিরে পাবে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন জানান- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর চেষ্টায় প্রায় ১০০ শত কোটি টাকা ব্যায়ে ভৈরব খনন হয়। নদী তীরে চলাচলের পথ সহ তীরের সৌন্দর্য্যবর্ধন করা হয়। কিন্তু নদীতে কচুরীপানা নদীর সৌন্দর্যকে ধংস করে দিয়েছে। তিনি জানান- দ্রুতই নদী বুক থেকে কচুরীপানা অপসারণ করে ভৈরবের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা হবে।

মেহেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী , মোঃ শাহিনুজ্জামান জানান- ভৈরব নদের ২৯ কিঃমিঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৩০ কিঃমিঃ নদীর খননের কাজ চলছে। নদে প্রবাহ না থাকায় কচুরীপানায় ভরে গেছে ভৈরব। কচুরীপানা অপসারনের জন্য মেশিন কেনা বাবদ অর্থ চাওয়া হয়েছে। মেশিন পেলে কচুরীপানা অপসারণ করে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শত কোটি টাকায় খননকৃত ভৈরব মরে যাচ্ছে

শত কোটি টাকায় খননকৃত ভৈরব মরে যাচ্ছে
ছবিঃ প্রতিনিধি

একসময় ভৈরবের তীব্র গর্জন শুনতে পেত মানুষ। বড় বড় জাহাজ ভীড়তো এই ভৈরবে। কালের পরিক্রমায় ভৈরব যৌবন হারায়। পুনরায় নদীর যৌবন ফিরাতে ৫ বছর আগে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যায়ে খনন করা হয়। সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে শত কোটি টাকার কাজের লক্ষ্য এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। সঠিকভাবে নদীশাসন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় নদীর দুই পাড়ে দেখাদিয়েছে ভাঙ্গন। পৌর সভার সুয়ারেসের বজ্য এসে পড়ে নদীর তল দেশ উচু হচ্ছে। নদীর বুক জুড়ে এখন কচুরীপানা দখল করেছে। এতে মরে যেতে বসেছে ভেরব।এক সময়ের স্রোত ভৈরবের ভবিষ্যত নিয়ে আবার চিন্তিত পরিবেশবাদী ও নদীপাড়ের মানুষজন।

ভৈরবের বুকে কচুরীপানার আস্তারণ পড়ে যাওয়ায় নদীটি তার জৌলুস হারিয়েছে। কচুরীপানার শুকিয়ে নদীর পানি রং কালো আকার ধারণ করেছে। নোংরা আর্বজনায় স্তুুপ ভৈরবের পানিতে। অনেক স্থানে নোংরা আর্বজনা পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অথচ নদীটি খননের পর নদীর বুক ভার পানি ছিল। পানি প্রবাহ বদ্ধি পাওয়ায় স্বচ্ছ টলটলে পানি আর নদী তীরের ফুরফুরে হাওয়ায় আনন্দ নিতে প্রতিদিন প্রকৃতিপ্রেমী তরুণ তরুণী ভীড় করতো নদী তীরে।

নদীর তীরবর্তী যাদবপুর গ্রাম বসবাসরত সিদ্দিীকুর রহমান জানান- কচুরীপানা আর ময়লার কারণে গুমট পরিবেশ তৈরী হয়ে নদী মরে যেতে বসেছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দাবি ভৈরব নদীর পানি প্রবাহ ও নদী সঠিক ভাবে রক্ষা করা গেলে নদীর দুই তীরের প্রায় ২১ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা ফিরে পাবে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন জানান- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর চেষ্টায় প্রায় ১০০ শত কোটি টাকা ব্যায়ে ভৈরব খনন হয়। নদী তীরে চলাচলের পথ সহ তীরের সৌন্দর্য্যবর্ধন করা হয়। কিন্তু নদীতে কচুরীপানা নদীর সৌন্দর্যকে ধংস করে দিয়েছে। তিনি জানান- দ্রুতই নদী বুক থেকে কচুরীপানা অপসারণ করে ভৈরবের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা হবে।

মেহেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) নির্বাহী প্রকৌশলী , মোঃ শাহিনুজ্জামান জানান- ভৈরব নদের ২৯ কিঃমিঃ খনন কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৩০ কিঃমিঃ নদীর খননের কাজ চলছে। নদে প্রবাহ না থাকায় কচুরীপানায় ভরে গেছে ভৈরব। কচুরীপানা অপসারনের জন্য মেশিন কেনা বাবদ অর্থ চাওয়া হয়েছে। মেশিন পেলে কচুরীপানা অপসারণ করে নদের স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত