নানা সমস্যায় জর্জরিত মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিবেশ নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। এরপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক নামের আয়া ও মাসীরা। বছরের পর বছর জেকে বসেছে এই আয়া-মাসী। প্রতিনিয়তোই তাদের হাতে লাঞ্চিত হচ্ছে রুগী। এদের যোগ সাজসে আছে হাসপাতালের কতিপয় নার্স। কোন ভাবেই এই আয়া মাসির চক্রকে রোধ করা যাচ্ছেনা। এই আয়া মাসিরাই এখন হাসপাতালের ওয়াডের্র নিয়ন্ত্রক। নারীও প্রসুতি ওয়ার্ডের এদের দাপট আকাশ চুম্বি।
প্রসুতি ওয়ার্ডে সন্তান প্রসব করতে এদের দিতে হয় ৪/৫ হাজার টাকা । টাকা দিতে না পারলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি সহ নির্যাতন করা হয় । আর এর প্রতিবাদ করলেও বিপদ। প্রতিবাদে রুখে দাড়ায় আয়া, মাসী ও নার্সরা জোট বেঁধে। হুমকিদেন চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার ।
গত দুবছর এদর অবহেলায় অকালে ঝড়ে গেছে ১০/১২ জন প্রসুতী ও সদ্য ভূমিস্ট শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ মানববন্ধন করেও কোন সুরুহা পায়নি রুগীর স্বজনরা। ইতিপূর্বে এ নিয়ে একাধিকবার তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তবে সে তন্দ কমিটি আলোর মুখ দেখেছে বলে আভিযোগ কারির পরিবার বা সংবাদ কর্মীরা জানতে পারেনি। এদিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি এদের ক্ষমতার দাপট এতো বেশী কোন ভাবেই এদের হাসপাতাল থেকে সরানো যাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক জন স্বেচ্ছাসেবক আয়া জানান আমারা এখানে বছরের পর বছর সেচ্ছায় সেবা দিচ্ছি তার পর কোন বেতন পায়না। রুগীদের কছে থেকে বকশিশই আমাদের আয়ের উৎস। তার পর বকশিশের বেশি অংশ ভাগ দিতে হয় নার্সেদের। তিনি আরো জানা কয়েক জন নাসের্র কথা শুনে আমাদের চলতে হয়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৫/৬ বছর একই ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কয়েকজন নার্স। তাদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছে আয়া-মাসিদের এই চক্র। এদের মধ্যে নার্স মুসলিমা, আজিরন নেছা, সোনালী হাওলাদার, রওশন আরা ও সাবিনার নাম পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাস পাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জািমর মোঃ হাসিবুস সাত্তার বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ ফিরাবার চেষ্টা করছি। আয়া মাসিরা টাকা পয়সা নেয় এটা সত্য। আমি একা কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবোনা। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এরা দির্ঘদিন এখানে আছে । এটা হাসপাতালের একটা বড় সমস্যা। অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে এদের কে সরানো এখন কঠিন থেকে কঠিনতর কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।