মেহেরপুরের হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি যাবে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় ১০ টি দেশে । গত বছরও ৮ মেট্রিকটন হিমসাগর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়েছে। এবারও রপ্তানীর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড লিংক, আডাব ইন্টারন্যাশনাল, গ্রিন গ্লোবাল, বি.এইচ ট্রেড, মরিশন এন্টারপ্রাইজ ও নাফিজা এন্টারপ্রাইজ এই ৬টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান এবার মেহেরপুর থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালী আম রপ্তানি করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ।
মেহেরপুরের বিভিন্ন আম বাগান পরিদর্শন শেষে তারা এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান গুলোর জানান, ৩ হাজার মেট্রিকটন আম রপ্তানী করবে তারা। এর মধ্যে মেহেরপুর থেকে সর্বোচ্চ আম নেওয়া হবে মেহেরপুর থেকে।
গ্রীন গ্লোবালের স্বত্বাধীকারী কাওসার আহমেদ জানান, আমরা ভালো মানের আম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করে থাকি। গতবার মেহেরপুর ও সাতক্ষিরা জেলা থেকে আম সংগ্রহ করেছিলাম। এবার সাতক্ষিরার আমের চাইতে মেহেরপুরের আমের মান ভালো। চাষিদের সর্বোচ্চ মূল্য দিতে পারবো আমরা।
চাষি ও রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মধ্যস্ততার কাজ করছেন মেহেরপুর কৃষি বিভাগ। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ইতিমধ্যে ৬টি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান মেহেরপুরের বিভিন্ন আম বাগান পরিদর্শন করেছেন। তারা অঅগ্রহ দেখিয়েছেন। এছাড়াও ইউরোপের সুপার মার্কেট গুলোতে আম সরবরাহের জন্য “গুড এগ্রিকালচার প্রডাক্ট” (গ্যাপ) এর সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য মেহেরপুরের বাগানগুলো তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। ইতিমধ্যে শহরের শাহিন আলী আম বাগানে এই প্রকিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাপের সার্টিফিকেট পেলে ইউরোপের প্রতিটি বাজারেই মেহেরপুরের আম পাওয়া যাবে।
বাগান মালিক শাহিন আলী জানান, গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমার বাগানের আম রপ্তানী হচ্ছে। এবারও হবে বলে আশা করছি। সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। নিরাপদ বিষ মুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষে বাগান গুলো সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও গ্যাপ’র সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য তাদের সকল শর্ত গুলো মেনে চলা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার জানান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে গেছে। তাদের প্রতিনিধি এখনো মেহেরপুরে আছে। আশা করছি এবার ব্যাপকহারে আম রপ্তানি হবে।