পুলিশের বাধার মুখে বঙ্গবাজার মোড়ে আন্দোলনকারীদের অবস্থান
রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটার প্রতিবাদ ও বন্ধের দাবিতে নগরভবনমুখী আন্দোলনকারীদের বঙ্গবাজার মোড়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
আন্দোলনকারীরা বঙ্গবাজার মোড়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এসে কথা না বলা পর্যন্ত তাঁরা সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থেকে নগরভবনের দিকে রওনা দেন সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্যরা। দুপুর ১২টার কিছু আগে বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
কমিটির সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কেন সিটি করপোরেশন ব্যবহার করছে? কেন আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে? আমাদের অধিকার আছে আন্দোলন সংগ্রামের। সিটি করপোরেশনের মেয়রকে এখানে নিয়ে আসেন। অন্য কোনো কথা আমরা শুনবো না।’
সাতমসজিদ সড়কে গাছ কেটে নতুন করে সড়ক বিভাজক তৈরি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এরপরও সিটি করপোরেশন গাছ কেটে উন্নয়নকাজ করছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদার সাতমসজিদ সড়কের গাছগুলো কাটা শুরু করলে স্থানীয় এলাকাবাসী, পরিবেশ ও সংস্কৃতিকর্মীরা সম্মিলিতভাবে ‘সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন’-এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন। সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে প্রায় তিন মাস গাছকাটা বন্ধ থাকলেও ১ মে আবার গাছকাটা শুরু হয়। ৫,৬ ও ৭ মে বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
সাতমসজিদ সড়ক বিভাজকে বট, বড়ই, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, শিরীষগাছগুলোর পাশাপাশি সেখানে বেশ কিছু তৃণগুল্ম ও লতা ঝোপ রয়েছে। ফলে সেখানে বর্ষাকালে পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ দেখা যায়, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদ জানাতে ও গাছ কাটা বন্ধের দাবিতে নগরভবনের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন