বর্ষায় পোশাক পরিধান কেমন হওয়া উচিত

,
বর্ষায় পোশাক পরিধান কেমন হওয়া উচিত

বর্ষা কালে হঠাৎই বৃষ্টি চলে আসে যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আপনাকে ভিজে যেতে পারেন । তাই সর্ব প্রথমেই আপনাকে ব্যাবহার করতে হবে রেইনকোট। যা আপনাকে এই বর্ষা থেকে বাঁচাবে । মানে আপনাকে বা আপনার পোশাককে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তাই বর্ষায় প্রথমেই আগে সাথে রাখবেন রেইনকোট । এমন কি ছাতাও রাখতে পারেন। মূলত বর্ষার মৌসুমে রক্ষা পেতে হলে ছাতা ও রেইনকোট সাথে রাখা বাধ্যতমূলক। এতে আপনি বৃষ্টির হাত থেকে বেঁচে যাবেন।

বর্ষায় অনেক সময় ভুল কাপড় পরিধান জন্যে পড়তে হয় কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। অনেক সময় লজ্জাও পেতে হয় । কেননা হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে, কিছু কিছু কাপড়ে দেখতে অনেক বাজে লাগে বা অসস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাই বর্ষায় পোশাক পরিধান এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব পোশাক সম্পর্কে।

১. বর্ষায় এমন পোশাক বেছে নিন যেটির ম্যাটেরিয়াল ও মাধ্যম দুটিই টেকসই ও আরামদায়ক। জর্জেট ও শিফন কাপড়ের তৈরি পোশাক পরা থেকে বিরত থাকা উচিত । কেননা বর্ষায় ভিজে গেলে শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকে ফলে দেখতে বাজে দেখা যায়।

২. যেসব পোশাক তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে সেগুলো পরিধান করা উচিত। বর্ষায় বেশি জমকালো পোশাক না পরাই ভালো। এমন পোশাক বৃষ্টির ছাঁট লেগে ভিজে গেলে শুকাতে বেশি সময় লাগবে। এ জন্য এমন পোশাক বেছে নিন, যেটি ভিজলেও সহজে শুকিয়ে যায়। সিল্ক, হাফসিল্ক, জর্জেট, লিনেন, ভিসকস জাতীয় পোশাক সহজেই শুকিয়ে যায়। বর্ষায় পরিবেশ অনেক সময় ভাপসা গরম মনে হয়। এ সময় হাফসিল্ক অথবা সিল্ক লেসজাতীয় পোশাক বেছে নিতে পারেন। আরাম লাগবে।

৩. চেহারা যদি স্থূল হয় তাহলে বডি হাগিং পোশাক একেবারেই পরা উচিত নয়। হাঁটু পর্যন্ত পোশাক পরতে পারলে ভালো হয় বেশি। এই সময় বেশি লম্বা কামিজ, জামা না পরে একটু শর্ট টপস, ফতুয়া পরলে বেশি ভালো লাগবে। প্রতিদিনের গতানুগতিক লুকের জন্যে ঢোলা পালাজ্জো, স্কার্ট, প্রিন্ট বা চেকের ঢোলা শার্ট এবং প্যান্ট ভালো হবে। আরেকটু অভিনব লুক আনতে টিউনিক্স, কাফতান, শর্ট ড্রেস, লেডিস পাঞ্জাবি বাছাই করা যেতে পারে।

৪. কালো অথবা গাঢ় কোনো রঙের পোশাক বেছে নেয়া উচিত। এবং টাইট ফিটিং-এর পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষায় যেহেতু রাস্তা ঘাটে পানি জমে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব হয়, তাই হালকা রঙের জামা পরলে অসাবধানতায় পানির ছিটেফোঁটা জামায় লাগতে পারে। নোংরা ও দাগ পরা থেকে বাঁচাতে কালো বা গাঢ় রঙের জামা পরাই উত্তম।

৫. এছাড়াও বর্ষাকালে সবসময় ব্যাগে একটা আলাদা পোশাকের রেখে দেওয়া উচিত যাতে করে প্রয়োজনে পোশাক বদলানো যেতে পারে। এই মরশুমে গোলাপি, সবুজ, নীল, অরেঞ্জ ইত্যাদি রঙের পোশাক দেখতে ভালো লাগে। তাই এগুলো পড়তে পারেন

৬. ক্যাজুয়াল লুকের জন্যে কেপরি, স্কার্ট, লুজ প্রিন্টেড শার্ট এবং প্যান্ট খুব ভালো। গ্ল্যামারাস লুক পেতে হলে কাফতান, টিউনিক্স, শর্ট ড্রেস খুব সুন্দর লাগবে। এছাড়া যারা ড্রেস পরতে অভ্যস্ত নন তাদের জন্যে রয়েছে বর্ষায় পরার মানানসই শাড়ি যা ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে নেওয়া যাবে। সিন্থেটিক শাড়ি এই মরশুমে পরার জন্যে একদমই উপযোগী।

৭. বর্ষার পোশাকের রঙের স্থায়িত্বের দিকেও রাখতে হয় বিশেষ খেয়াল। বৃষ্টিতে ভিজে কাপড় থেকে রং উঠতে পারে। যা শুধু নিজের জন্যই বিপত্তির নয়, আশপাশের মানুষও বিরক্ত হতে পারে। কেননা রং লেগে যেতে পারে তার পোশাকেও। বর্ষায় পরার উপযোগী কি না আগেই যাচাই করে নিতে কাপড়ের এক কোণা একটু সাবান পানিতে, সুযোগ না থাকলে কোণাটা একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে ঘষে হাত দিয়ে পরখ করা যায় রং উঠছে কি না। যদি রঙ ওঠে তাহলে পুরো জামা থেকেই রং উঠবে।

এছাড়াও পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো এবং গয়নাও আবশ্যক। লেদার জুতো এই বর্ষার মরশুমে একেবারেই পড়া উচিত না। মার্কেটে বর্ষায় পরার জুতো এখন সবসময় পাওয়া যায়। যেসব ওয়াটার প্রুফ জুতা পড়া উচিত । বর্ষার দিনে বাইরে বেরোনোর সময় কোন ধরনের পোশাকে স্বস্তি মিলবে তা নিয়ে বিড়ম্বনা কম বেশি সবারই। একটু বুঝে, বুদ্ধি করে পোশাক বাছাই করলে এই ঝামেলা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বর্ষায় পোশাক পরিধান কেমন হওয়া উচিত

বর্ষায় পোশাক পরিধান কেমন হওয়া উচিত

বর্ষা কালে হঠাৎই বৃষ্টি চলে আসে যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আপনাকে ভিজে যেতে পারেন । তাই সর্ব প্রথমেই আপনাকে ব্যাবহার করতে হবে রেইনকোট। যা আপনাকে এই বর্ষা থেকে বাঁচাবে । মানে আপনাকে বা আপনার পোশাককে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তাই বর্ষায় প্রথমেই আগে সাথে রাখবেন রেইনকোট । এমন কি ছাতাও রাখতে পারেন। মূলত বর্ষার মৌসুমে রক্ষা পেতে হলে ছাতা ও রেইনকোট সাথে রাখা বাধ্যতমূলক। এতে আপনি বৃষ্টির হাত থেকে বেঁচে যাবেন।

বর্ষায় অনেক সময় ভুল কাপড় পরিধান জন্যে পড়তে হয় কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। অনেক সময় লজ্জাও পেতে হয় । কেননা হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে, কিছু কিছু কাপড়ে দেখতে অনেক বাজে লাগে বা অসস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তাই বর্ষায় পোশাক পরিধান এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব পোশাক সম্পর্কে।

১. বর্ষায় এমন পোশাক বেছে নিন যেটির ম্যাটেরিয়াল ও মাধ্যম দুটিই টেকসই ও আরামদায়ক। জর্জেট ও শিফন কাপড়ের তৈরি পোশাক পরা থেকে বিরত থাকা উচিত । কেননা বর্ষায় ভিজে গেলে শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকে ফলে দেখতে বাজে দেখা যায়।

২. যেসব পোশাক তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে সেগুলো পরিধান করা উচিত। বর্ষায় বেশি জমকালো পোশাক না পরাই ভালো। এমন পোশাক বৃষ্টির ছাঁট লেগে ভিজে গেলে শুকাতে বেশি সময় লাগবে। এ জন্য এমন পোশাক বেছে নিন, যেটি ভিজলেও সহজে শুকিয়ে যায়। সিল্ক, হাফসিল্ক, জর্জেট, লিনেন, ভিসকস জাতীয় পোশাক সহজেই শুকিয়ে যায়। বর্ষায় পরিবেশ অনেক সময় ভাপসা গরম মনে হয়। এ সময় হাফসিল্ক অথবা সিল্ক লেসজাতীয় পোশাক বেছে নিতে পারেন। আরাম লাগবে।

৩. চেহারা যদি স্থূল হয় তাহলে বডি হাগিং পোশাক একেবারেই পরা উচিত নয়। হাঁটু পর্যন্ত পোশাক পরতে পারলে ভালো হয় বেশি। এই সময় বেশি লম্বা কামিজ, জামা না পরে একটু শর্ট টপস, ফতুয়া পরলে বেশি ভালো লাগবে। প্রতিদিনের গতানুগতিক লুকের জন্যে ঢোলা পালাজ্জো, স্কার্ট, প্রিন্ট বা চেকের ঢোলা শার্ট এবং প্যান্ট ভালো হবে। আরেকটু অভিনব লুক আনতে টিউনিক্স, কাফতান, শর্ট ড্রেস, লেডিস পাঞ্জাবি বাছাই করা যেতে পারে।

৪. কালো অথবা গাঢ় কোনো রঙের পোশাক বেছে নেয়া উচিত। এবং টাইট ফিটিং-এর পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষায় যেহেতু রাস্তা ঘাটে পানি জমে, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব হয়, তাই হালকা রঙের জামা পরলে অসাবধানতায় পানির ছিটেফোঁটা জামায় লাগতে পারে। নোংরা ও দাগ পরা থেকে বাঁচাতে কালো বা গাঢ় রঙের জামা পরাই উত্তম।

৫. এছাড়াও বর্ষাকালে সবসময় ব্যাগে একটা আলাদা পোশাকের রেখে দেওয়া উচিত যাতে করে প্রয়োজনে পোশাক বদলানো যেতে পারে। এই মরশুমে গোলাপি, সবুজ, নীল, অরেঞ্জ ইত্যাদি রঙের পোশাক দেখতে ভালো লাগে। তাই এগুলো পড়তে পারেন

৬. ক্যাজুয়াল লুকের জন্যে কেপরি, স্কার্ট, লুজ প্রিন্টেড শার্ট এবং প্যান্ট খুব ভালো। গ্ল্যামারাস লুক পেতে হলে কাফতান, টিউনিক্স, শর্ট ড্রেস খুব সুন্দর লাগবে। এছাড়া যারা ড্রেস পরতে অভ্যস্ত নন তাদের জন্যে রয়েছে বর্ষায় পরার মানানসই শাড়ি যা ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে নেওয়া যাবে। সিন্থেটিক শাড়ি এই মরশুমে পরার জন্যে একদমই উপযোগী।

৭. বর্ষার পোশাকের রঙের স্থায়িত্বের দিকেও রাখতে হয় বিশেষ খেয়াল। বৃষ্টিতে ভিজে কাপড় থেকে রং উঠতে পারে। যা শুধু নিজের জন্যই বিপত্তির নয়, আশপাশের মানুষও বিরক্ত হতে পারে। কেননা রং লেগে যেতে পারে তার পোশাকেও। বর্ষায় পরার উপযোগী কি না আগেই যাচাই করে নিতে কাপড়ের এক কোণা একটু সাবান পানিতে, সুযোগ না থাকলে কোণাটা একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে ঘষে হাত দিয়ে পরখ করা যায় রং উঠছে কি না। যদি রঙ ওঠে তাহলে পুরো জামা থেকেই রং উঠবে।

এছাড়াও পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো এবং গয়নাও আবশ্যক। লেদার জুতো এই বর্ষার মরশুমে একেবারেই পড়া উচিত না। মার্কেটে বর্ষায় পরার জুতো এখন সবসময় পাওয়া যায়। যেসব ওয়াটার প্রুফ জুতা পড়া উচিত । বর্ষার দিনে বাইরে বেরোনোর সময় কোন ধরনের পোশাকে স্বস্তি মিলবে তা নিয়ে বিড়ম্বনা কম বেশি সবারই। একটু বুঝে, বুদ্ধি করে পোশাক বাছাই করলে এই ঝামেলা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত