রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ে সেনা জোনের উদ্যোগে কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার স্থানীয়
ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার( ৫ জুন) সকালে কাপ্তাই শহীদ সৈনিক আফজাল হলে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ নুর উল্লাহ জুয়েল, পিএসসি।
উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাপ্তাই সেনা জোনের আওতাধীন কাপ্তাই এবং রাজস্থলী উপজেলার সকল কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি, পরিবহন মালিক সমিতি, সিএনজি সমিতি, ট্রাক, মিনিট্রাক, চা, গাড়ি মালিক সমিতি, বাজার পরিচালনা কমিটি, মৎস্যজীবি সমিতি’র নেতা এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সভায় কাপ্তাই সেনা জোনের জোন কমান্ডার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে কুশলাদী বিনিময়ের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া কাপ্তাই এবং রাজস্থলী থেকে আগত ব্যবসায়ীগণ পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা ও চাঁদাবাজি নিয়ে কথা বলেন।
এসময় জোন কমান্ডার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাপ্তাই জোনের দায়িত্বপূর্ন এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিসহ যেকোন ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাপ্তাই সেনা জোন সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠনগুলো চাঁদাবাজি করে সংগ্রহকৃত অর্থ দিয়ে সমরাস্ত্র ক্রয় করে দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ি ব্যক্তিগত লাভের আসায় গোপনে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে চাঁদা দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ডে সহায়তা করছে।
জোন কমান্ডার তাদেরকে হুশিয়ার করে বলেন, যে সকল ব্যবসায়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিয়ে সহায়তা করে থাকে মদদ দাতা হিসেবে তারাও দেশের শত্রু । যদি কোন ব্যবসায়ী অথবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদা দেওয়ার ব্যাপারে প্রমান পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপগুলোর চাঁদাবাজি রোধে স্থানীয়ভাবে সমন্বিত প্রতিরোধ গড়ে তুলার পাশাপাশি সশস্ত্র চাঁদাবাজদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য দ্রুত নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে পৌছানোর ব্যপারে অনুরোধ করেন।
