মেহেরপুরে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়ন গবেষনা প্রকল্প কাজ চলছে কাগজ কলমে। কোটি টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্প অন্তভ’ক্ত গ্রামে দেখা মেলেনি ব্লাক ব্যাঙ্গল ছাগলের। গ্রাম বাসীসহ প্রকল্পের রিচার্স এসোসিয়েট ও প্রাণী সম্পাদ বিভাগের দাবি এই প্রকল্পে ব্লাক বেঙ্গল নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায় ২০২০ সালে ৭ জেলায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে বাংলাদেশ প্রাণী সম্পাদ গবেষনা ইনিউস্টিউটের (বিএলআরআই) ত্বাবধায়নে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধিনে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের ৩০ জন ছাগল খামারিকে অন্তুভুক্ত করা হয়। অন্তভুক্ত খামারিদের মধ্যে ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগি, পাঠা, ঔষধ ও খাবার সরবরাহ সহ সার্বিক তত্বাবধায়নের কথা বাংলাদেশ প্রাণী সম্পাদ গবেষনা ইনিউস্টিউট ও মেহেরপুর প্রাণী সম্পদ বিভাগের। কিন্তু এই ৩০ জন খামারি সহ এই গ্রামে নেই কোন ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল।
আশরাফ পুর গ্রামের খামারী হাফিজুল বলেন,প্রকল্পের বিনামুল্যে বরাদ্দকৃত পাঠা খামারিদের দিয়ে উত্তলোন করে জোর করে নিয়ে বেচে দিয়েছে প্রকল্পের কর্মকর্তা। আমাদের যে অন্য জাতের ছাগল আছে তাকেই ব্লাক বেঙ্গল বলে প্রকল্প চালাচ্ছে।
এই খামারে দল নেত্রী চ্যামেলী খাতুন বলেন এই গ্রামে কোন ব্লাক বেঙ্গল ছাগল নেই। যা আছে সব অন্য সংকর জাতের ছাগল। এ কারনে ব্লাকবেঙ্গল ছাগল নামে আমাদের পোষা জাতও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ে প্রকল্পথেকে আ,মরা তেমন কোন সুবিধাও পাইনা।
গবেষনা প্রকল্পের রিচার্স এসোসিয়েট মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না বলেন, গ্রামে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল নেই। খামারির তালিকা উদ্ধতন কর্তপক্ষ করেছে । তাছাড়া বি এল আর আই উদ্ধতন কর্মকর্তা যে ভাবে নির্দেশ দেন আমি সেই ভাবে কাজ করি। তিনি আরও বলেন অল্প বেতনে চাকরি করি তায় পাঠা বিক্রি সহ মাঠে কিছু অনিয়ম করেছি ।
মেহরপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন গবেষনা প্রকল্পে কিছু মিশ্রন ছাগল আছে। মেহেরপুরে ব্লাকবেঙ্গল জাতের ছাগল খুজে পাওয়া মুশকিল। এ প্রকল্প আমাদের দেখ ভালের দায়িত্ব শুধু। কোন কিছু জানার থাকলে বি এল আর আই থেকে জানবেন।
ব্লাক বেঙ্গল ছাগল জাত সংরক্ষন ও গবেষনা প্রকল্পের পি ডি সাদেক আহম্মেদ বলেন আমি মিটিং আছি মেহেরপুর গেলে আপনাদের সাথে সাক্ষাতে কথা হবে এই বলে ফোন কেটে দেন।