ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (ডিআর কঙ্গো) একটি শিবিরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।
আল-জাজিরার তথ্যে আরও জানানো হয়, গত রবিবার(১২ জুন) সন্ধ্যা থেকে সোমবার(১৩ জুন) সকাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া এই হামলাটি চালানো হয়। মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর একটি জোটের যোদ্ধারা হামলাটি চালিয়েছে, যার নাম কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো)। জাতিসংঘ জানায়, যোদ্ধারা ডজুগু অঞ্চলের লালা বাস্তুচ্যুত স্থানে বাস্তুচ্যুত লোকদের গণহত্যা করেছে।
যেখানে এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ঘাঁটির স্থান ৫ কিমি (৩ মাইল) দূরে অবস্থিত। কোডেকো দাবি করে, তারা লেন্দু নামক সম্প্রদায়কে হেমা নামের অন্য জাতিগোষ্ঠী এবং সেইসাথে কঙ্গোর সেনাবাহিনী থেকে রক্ষা করবে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং (শান্তিরক্ষা মিশন) মনে করতে চায় যে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত আক্রমণ যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।’
মাকি লোম্বে নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হামলার পর তিনি মাটিতে ‘৪০টিরও বেশি মৃতদেহ’ পড়ে থাকতে দেখেছেন। রাতে পালিয়ে গিয়ে তিনি বেঁচে যান বলেও জানান তিনি।