ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার, বাইডেনের সমালোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার, বাইডেনের সমালোচনা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা নথির ইস্যুতে সকল অভিযোগ দেশটির মিয়ামির আদালতে প্রত্যাখান করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিয়ামি রাজ্যের মার্শালে ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকের সামনে উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রের গোপন নথি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ১০ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থা এফবিআই ফ্লোরিডায় অবস্থিত তার বাড়ি থেকে এসমস্ত নথিপত্র উদ্ধার করে। সেসময় কিছু কিছু নথি তার বাড়ির বলরুম ও বাথরুমেও পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে আদালতে হাজিরা দিয়ে ব্যক্তিগত বিমানযোগে নিউজার্সির বেডমিনস্টারে অবস্থিত নিজের গলফ ক্লাবে ফিরে যান ট্রাম্প। এ সময় বাইডেনকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে গালাগাল করে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেন তিনি অংশ নিতে না পারেন সেজন্যই বাইডেন এমন করছেন।

পরে সন্ধ্যায় তার গলফ ক্লাবে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন ইতিহাসে ক্ষমতার সবচেয়ে অপব্যবহার করার দৃষ্টান্ত বোধহয় আজ। পরে তিনি এসব অভিযোগ থেকে প্রত্যাহারেরে দাবী জানান।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয়।

অবশ্য ট্রাম্প তার স্বভাবসুলব আচরণের প্রকাশ ঘটিয়ে দেশটির বিচার ব্যবস্থার প্রতিও বিদ্রুপাত্মক ভাষায় বলেন, আদালত নিষ্ঠূর আচরণের দিকে যাচ্ছে। তদন্তের পেছনে বিশেষ প্ররোচণা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খুব বাজকেভাবে হারতে যাওয়া একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝখানে, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করিয়েছেন— যে মামলায় তিনি ও অন্যান্য প্রেসিডেন্টরাও দোষী হতে পারতেন।

এদিকে সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির ৮২ শতাংশ সমর্থক মনে করছে তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত যাতে করে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তিনি।

এর আগে গত বছর ট্রাম্পের বাড়ি থেকে যেসব নথি উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে সিআইএ, এনএসএ, মার্কিন সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক সক্ষমতা সংক্রান্ত গোপন তথ্য ছিল বলে দাবি করেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।

এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় তার অনুসারীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে ৭৮ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন।

তবে তার বক্তব্যের পুরো সময় ডেমক্র্যাটের সমালোচনায় মুখর ছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের করা নানা সমালোচনার জবাবও দেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, হিলারি , জো বাইডেনসহ আরও অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছিলেন। সেসব আমরা খুঁজে বের করছি।

২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের ঘোষণাও দেন তিনি।

এদিকে রবার্ট হুরের দায়িত্বে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরের পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি কি করেছিলেন সে বিষয়েও কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাটের নীতি নির্ধারক রিচার্ড গুডস্টেইন আল-জাজিরা কে বলেন, ট্রাম্পের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছেও দেশের গোপন নথি পাওয়া যায় তার ইন্ডিয়ানার বাসায়।

তবে পেন্স ও বাইদেনের বিষয়টি ট্রাম্পের চেয়ে সম্পুর্ণ আলাদা এক বিষয়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা ৪৯ পাতার একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছেন। আর এর মধ্যে তার বাড়ি থেকে পাওয়া নথির বেশ কিছু ছবিও রয়েছে।

এদিকে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এ অভিযোগপত্রকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, আদালতের রায় যাই হোক না কেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে বদ্ধ পরিকর।

সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার, বাইডেনের সমালোচনা

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার, বাইডেনের সমালোচনা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা নথির ইস্যুতে সকল অভিযোগ দেশটির মিয়ামির আদালতে প্রত্যাখান করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ জুন) মিয়ামি রাজ্যের মার্শালে ম্যাজিস্ট্রেট বিচারকের সামনে উপস্থিত হয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রের গোপন নথি নিয়ে যাওয়ার মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ১০ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা ও তদন্ত সংস্থা এফবিআই ফ্লোরিডায় অবস্থিত তার বাড়ি থেকে এসমস্ত নথিপত্র উদ্ধার করে। সেসময় কিছু কিছু নথি তার বাড়ির বলরুম ও বাথরুমেও পড়ে থাকতে দেখা যায়।

পরে আদালতে হাজিরা দিয়ে ব্যক্তিগত বিমানযোগে নিউজার্সির বেডমিনস্টারে অবস্থিত নিজের গলফ ক্লাবে ফিরে যান ট্রাম্প। এ সময় বাইডেনকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে গালাগাল করে তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে যেন তিনি অংশ নিতে না পারেন সেজন্যই বাইডেন এমন করছেন।

পরে সন্ধ্যায় তার গলফ ক্লাবে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন ইতিহাসে ক্ষমতার সবচেয়ে অপব্যবহার করার দৃষ্টান্ত বোধহয় আজ। পরে তিনি এসব অভিযোগ থেকে প্রত্যাহারেরে দাবী জানান।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেয়।

অবশ্য ট্রাম্প তার স্বভাবসুলব আচরণের প্রকাশ ঘটিয়ে দেশটির বিচার ব্যবস্থার প্রতিও বিদ্রুপাত্মক ভাষায় বলেন, আদালত নিষ্ঠূর আচরণের দিকে যাচ্ছে। তদন্তের পেছনে বিশেষ প্ররোচণা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খুব বাজকেভাবে হারতে যাওয়া একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঝখানে, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রেসিডেন্ট তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করিয়েছেন— যে মামলায় তিনি ও অন্যান্য প্রেসিডেন্টরাও দোষী হতে পারতেন।

এদিকে সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টির ৮২ শতাংশ সমর্থক মনে করছে তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত যাতে করে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তিনি।

এর আগে গত বছর ট্রাম্পের বাড়ি থেকে যেসব নথি উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে সিআইএ, এনএসএ, মার্কিন সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক সক্ষমতা সংক্রান্ত গোপন তথ্য ছিল বলে দাবি করেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।

এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় তার অনুসারীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে ৭৮ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন।

তবে তার বক্তব্যের পুরো সময় ডেমক্র্যাটের সমালোচনায় মুখর ছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের করা নানা সমালোচনার জবাবও দেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, হিলারি , জো বাইডেনসহ আরও অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছিলেন। সেসব আমরা খুঁজে বের করছি।

২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগের ঘোষণাও দেন তিনি।

এদিকে রবার্ট হুরের দায়িত্বে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরের পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি কি করেছিলেন সে বিষয়েও কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ডেমোক্র্যাটের নীতি নির্ধারক রিচার্ড গুডস্টেইন আল-জাজিরা কে বলেন, ট্রাম্পের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছেও দেশের গোপন নথি পাওয়া যায় তার ইন্ডিয়ানার বাসায়।

তবে পেন্স ও বাইদেনের বিষয়টি ট্রাম্পের চেয়ে সম্পুর্ণ আলাদা এক বিষয়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা ৪৯ পাতার একটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছেন। আর এর মধ্যে তার বাড়ি থেকে পাওয়া নথির বেশ কিছু ছবিও রয়েছে।

এদিকে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এ অভিযোগপত্রকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, আদালতের রায় যাই হোক না কেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে বদ্ধ পরিকর।

সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত