ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে ৬৪ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়েছে। জাহাজটি লম্বায় ২২৯ দশমিক ৯৯ মিটার ও সাড়ে ১২ মিটার ড্রাপ্টের। এ নিয়ে গত দেড় মাসে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৪টি জাহাজ মাতারবাড়িতে ভিড়ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকী। জাহাজটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভেড়ার পরপরই তা থেকে কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, বুধবার (১৪ জুন) সকাল ৯টায় গভীর সমুদ্র থেকে পানামার পতাকাবাহী এম ভি জিসিএল পারাডিপ নামের জাহাজটিকে পাইলটিং করে জেটিতে নিয়ে এসে সতর্কতার সঙ্গে জাহাজটিকে জেটিতে নোঙর করানো হয়। কয়েক দিন আগে ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর মহেশখালীর মাতারবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এবার আসা জাহাজটি এ পর্যন্ত আসা জাহাজের চেয়ে সবচেয়ে বড়। আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসব জাহাজ থেকে কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে মাত্র চার দিনে সম্পূর্ণ কয়লা খালাস করা যায়।
“কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে তৈরি হয়েছে দেশের সবচেয়ে গভীর কৃত্রিম নৌপথ”। এমনটি জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, একের পর বড় জাহাজ ভেড়ানোর মাধ্যমে এই নৌপথের সুবিধা পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। নতুন উৎপাদনে যাওয়া মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি জেটির একটিতে কয়লা খালাস করা হয়। ৩০০ মিটার লম্বা এ জেটিতেই বড় জাহাজগুলো ভিড়ছে। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য জেটিটি ১১০ মিটারের, এ তেল খালাসের জন্য এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। বন্দর হিসেবে গড়ে ওঠার আগে ১১৫টি জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়িতে।