যশোর সদর উপজেলার ধর্মতলা খোলাডাঙ্গায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালায়ের সময় ধসে ১০ নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতরা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন যশোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোমিনুর রহমান (২৮), দেয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৪৫), আমদাবাদ গ্রামের দুলাল সরদারের ছেলে শিমুল সরদার (২৮), মাহিদিয়া গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আব্দুল হাই সিদ্দিকী (২৮), মণিরামপুর উপজেলার কেরামত গাজীর ছেলে ইমান আলী (৪৮), চৌগাছা উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের লালু বিশ্বাসের ছেলে আকিদুল ইসলাম (৩০), চান্দা আফরা গ্রামের লোকমান হাকিমের ছেলে খোকন (৩০), ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমকোলা মোকছেদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫), ঘোড়দাহ গ্রামের সন্তোষ মন্ডলের ছেলে হাফিজুর রহমান (৫০) ও ছবেদ আলীর খাঁর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৩৬)। এই ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের নির্মাণ কাজ করছে আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া , ঝিনাইদহ জেলায় মোট ১৮ বিদুৎ স্টেশনের নির্মাণের দায়িত্ব পায় এই কোম্পানি। ইতিমধ্যে ১৭টি বিদ্যুৎ স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ছিলো খোলাডাঙ্গা বাইপাস সড়কের কারবালা বিদ্যুৎ সাব স্টেশন নির্মান করা।
বৃহস্পতিবার সকালে এই নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে ঠেকিয়ে রাখা বাঁশ ভেঙ্গে গেলে ছাদ ধসে পড়ে। এসময় নির্মাণাধীন ১০ শ্রমিক আহত হন। খবর শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল জুয়েল ইমরানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এতে অংশ নেন ক্যান্টনমেন্ট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল জুয়েল ইমরান জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে যান। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে ঘটনাটি ভয়াবহ হলেও কারো প্রাণহানী হয়নি।
ক্যান্টনমেন্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার নাহিদ মাহমুদ জানান, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তিন ঘন্টা উদ্ধার কাজ করেন। ভেতরে কোন শ্রমিক আটকে আছে কি না সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়।