আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহাসড়কের বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও যাত্রীদের ভোগান্তি এড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ দিকনির্দেশনা মূলক প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্র ত্রিমোড়ে হাইওয়ে পুলিশ বক্সের সামনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
আইজিপি বলেন, কোরবানির পশুবাহী গাড়ি কোন অভিযোগ ছাড়া থামানো যাবে না। কোরবানির পশু পরিবহনের কেউ বাধা দিলে পুলিশকে জানাবেন আশেপাশে কোন প্রশাসনের লোক না থাকলে ৯৯৯-এ ফোন করবেন। কোন কোন সময় দেখা গেছে গরু নিয়ে টানা-হেচঁড়া হয়, চাঁদাবাজির অভিযোগ আসে। যদি কেউ এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে নৌকা কিংবা গাড়ির সামনে গন্তব্যস্থান বা পশুর হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গতবারের থেকে এবারের ঈদে চ্যালেঞ্জ একটু বেশি হবে। গতবারের ঈদে কাজ ছিল শুধু যাত্রী সাধারণ কে তাদের গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছানোর সহযোগিতা করা। এবার একদিকে যাত্রী সাধারণ গন্তব্যে যাবে অন্যদিকে রাস্তাঘাট এবং নদীতে পশুবাহী ট্রাক-নৌকা যাতায়াত করবে। এছাড়া এ ঈদে মৌসুমী ফলবাহী গাড়িও চলাচল করবে। সেগুলোকেউ আটকানো যাবে না এসব কিছু বিবেচনা করে আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই এবার সরকার আরো বেশি বিভিন্ন মুখী ব্যবস্থ্যা নিয়েছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে, পুলিশ হেড কোয়ার্টারে, প্রতিটি মহানগর এবং জেলায় পুলিশসহ প্রতিটি জেলার মালিক-শ্রমিক স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। রাস্তায় সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। জেলা প্রশাসকগণ ও মিটিং করেছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আশা করছি এবারও সবার সহযোগিতায় ঈদ যাত্রায় সমগ্র যাত্রী সাধারণ কে যথাসময়ে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমাদের সিনিয়র লেভেলের অফিসার, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি লেভেলের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে যাত্রী সাধারণের গমন স্বস্তি করতে নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সারাদেশে পশুর হাট সহ যেখানে জাল টাকা ও মলম পার্টির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাওয়া যাবে তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।
এ সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, শাহাবুদ্দিন ডিআইজি হাইওয়ে, মোজাম্মেল হক ডিআইজি, মাহফুজুর রহমান ডিআইজি হাইওয়ে, শফিউল আলম গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ও মোস্তাফিজুর রহমান হাইওয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপার সহ পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন করে বিদায় নেন।