ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন এসে বৃষ্টির ভোগান্তিতে আছেন ঘরে ফেরা মানুষেরা। ট্রেনে যাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিকর হলেও সড়কপথে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেক যাত্রী।
আজ সকালে গাবতলী টার্মিনালের যাত্রীদের ভিড় না থাকলেও ভাড়া বেশি ও যানজটের ভোগান্তি রয়েছে। গাবতলী টার্মিনালের যাত্রীদের আরেক ভোগান্তি পাশের গরুর হাট। হাটের কারণে আমিনবাজার ব্রিজের দুপাশে রয়েছে যানজট। তার সঙ্গে ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে বৃষ্টি।
বাস কাউন্টারের কর্মীরা বলছেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে দক্ষিণবঙ্গের অনেক যাত্রী এখন সায়েদাবাদ হয়ে ঘরে ফিরছেন। তাই তুলনামূলক গাবতলী টার্মিনালে ভিড় অনেকটাই কম।
সকালে দেখা যায়, যারা অগ্রিম অনলাইনে টিকিট কেটেছিলেন তারা ভিড় করছে কাউন্টারে। আবার অনেকেই এসেছেন টিকিট কেটে ঘরে ফিরতে।
প্রায় একই চিত্র মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও। ঢাকার পাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্য বাসের টিকিটের চাহিদা বেশি।
কাউন্টার থেকে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর অঞ্চলের যাত্রীর চাপ সন্ধ্যার পর বেশি। আর ঢাকার পাশের জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর এই অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ দিনে বেশি।
এর আগে গতকাল (সোমবার) ছিল ঈদের শেষ কর্মদিবস। তাই সন্ধ্যা পার হতেই ভিড় ছিল রাজধানীর বাস টার্মিনালে। তবে আজ সকালের চিত্র ছিল ভিন্ন। বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
গাবতলী ও মহাখালীতে ঈদযাত্রা শুরুর চতুর্থ দিনে প্রায় সব গাড়িকেই সঠিক সময়ে নির্ধারিত স্টপেজ ছেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে ঢাকায় ঢুকতে দেরি হওয়ায় অনেক গাড়ির জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গগামী এনা, একতা, এস আর পরিবহনের কাউন্টার কর্মীরা জানালেন, দূরপাল্লার বেশির ভাগ বাসেরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হওয়ায় যাত্রীদের অপেক্ষা এখন শুধু বাড়ি ফেরার নির্ধারিত বাসে চড়ার। তাই সময় অনুযায়ী কাউন্টারে আসলেই হচ্ছে। রাতের অগ্রিম যাত্রার টিকিট বেশি বিক্রি হয়েছে।