পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলে যে সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ

পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলে যে সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ
পদ্মা সেতু। ছবি – ইন্টারনেট

দেশে চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়েই রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সেতুবন্ধন হলো। পদ্মা সেতুর কারণে ৬-৭ ঘণ্টায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ ও সময় বাঁচবে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে সারা দেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে এই সেতু। যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সপ্নের পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উন্মাদনা বাংলাদেশ ছাপিয়ে ছুঁয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গেও। পদ্মা সেতু চালু হওয়া মানেই দুদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা। সেতু চালু মানেই দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতির ইঙ্গিত।

পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী মহল এখন মুখিয়ে আছেন পদ্মা সেতু হয়ে কবে থেকে বাংলাদেশি পর্যটকের ঢল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে আসা মানেই কলকাতার ব্যবসায়ীদের কাছে লক্ষীলাভ। বিশেষ করে কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার বড় অংশের ব্যবসায়ীরা সারা বছরই বাংলাদেশি পর্যটকদের আশায় পথ চেয়ে থাকেন। একইভাবে কলকাতার অনেক বেসরকারি হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশি রোগী। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীমহল পদ্মা সেতুকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ?

১। কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় কমে আসবে।

২। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ভারতে বাড়বে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা।

৩। বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতায় আসা মানেই মুখের হাসি চওড়া হবে কলকাতার ব্যবসায়ী মহলের।

৪। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রোগী আসার প্রবণতা বাড়বে। কারণ, ফেরি পারাপারের ঝুকি না থাকায় অনায়াসেই রোগীরা ঢাকা থেকে সড়কপথে কলকাতায় আসতে পারবেন।

৫। পদ্মা সেতু দিয়ে বেশি বাংলাদেশি পর্যটক আসলে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন ব্যবসারও সমৃদ্ধি ঘটবে।

৬। শুধুমাত্র পদ্মা সেতু দেখার জন্যই আগামী বেশ কয়েকবছর ধরে সড়কপথে বাড়বে পর্যটকদের সংখ্যা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের বনগা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাংলাদেশি পর্যটকের ভীড় বাড়লে ব্যবসায়ী ও যাত্রী পরিবহন সংস্থাগুলোর সুদিন ফিরবে।পদ্মা সেতু চালু হলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও গতি আসবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বেশি পরিমান পণ্য অল্প সময়ে বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলে যে সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ

পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলে যে সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ
পদ্মা সেতু। ছবি – ইন্টারনেট

দেশে চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়েই রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সেতুবন্ধন হলো। পদ্মা সেতুর কারণে ৬-৭ ঘণ্টায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানিতে খরচ ও সময় বাঁচবে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে সারা দেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে এই সেতু। যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সপ্নের পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উন্মাদনা বাংলাদেশ ছাপিয়ে ছুঁয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গেও। পদ্মা সেতু চালু হওয়া মানেই দুদেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা। সেতু চালু মানেই দুদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন গতির ইঙ্গিত।

পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী মহল এখন মুখিয়ে আছেন পদ্মা সেতু হয়ে কবে থেকে বাংলাদেশি পর্যটকের ঢল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে। বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে আসা মানেই কলকাতার ব্যবসায়ীদের কাছে লক্ষীলাভ। বিশেষ করে কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার বড় অংশের ব্যবসায়ীরা সারা বছরই বাংলাদেশি পর্যটকদের আশায় পথ চেয়ে থাকেন। একইভাবে কলকাতার অনেক বেসরকারি হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশি রোগী। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীমহল পদ্মা সেতুকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ?

১। কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় কমে আসবে।

২। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ভারতে বাড়বে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা।

৩। বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতায় আসা মানেই মুখের হাসি চওড়া হবে কলকাতার ব্যবসায়ী মহলের।

৪। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রোগী আসার প্রবণতা বাড়বে। কারণ, ফেরি পারাপারের ঝুকি না থাকায় অনায়াসেই রোগীরা ঢাকা থেকে সড়কপথে কলকাতায় আসতে পারবেন।

৫। পদ্মা সেতু দিয়ে বেশি বাংলাদেশি পর্যটক আসলে পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন ব্যবসারও সমৃদ্ধি ঘটবে।

৬। শুধুমাত্র পদ্মা সেতু দেখার জন্যই আগামী বেশ কয়েকবছর ধরে সড়কপথে বাড়বে পর্যটকদের সংখ্যা। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের বনগা থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাংলাদেশি পর্যটকের ভীড় বাড়লে ব্যবসায়ী ও যাত্রী পরিবহন সংস্থাগুলোর সুদিন ফিরবে।পদ্মা সেতু চালু হলে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও গতি আসবে। সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বেশি পরিমান পণ্য অল্প সময়ে বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত