উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ভোর রাতে পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরে সকাল ৬টা থেকে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘরে পানি পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। পানিতে তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত। জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী এলাকাগুলো, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলেতে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে।