থাইল্যান্ডের পিটা লিমজারোয়েনরাত থাইল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভোটে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনে জয়ী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে থাকা আট দলীয় জোটের সমর্থন থাকলেও ৭৪৯ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্ধেকের বেশি সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরেকটি ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী মনোনীত হলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী হতে পিটার প্রয়োজন ছিল ৩৭৫টি ভোট। কিন্তু তিনি পেয়েছেন ৩২৪টি। এছাড়া অনুপস্থিত বা ভোটদানে বিরত সদস্যের সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০। নির্বাচিত ৫০০ আসনের নিম্নকক্ষে পিটার জোট ৩১২ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু উচ্চ কক্ষ সিনেটের ২৪৯ জন সদস্য আগের সামরিক সরকার মনোনীত। ৩৭৫ ভোট পেতে পিটাকে এই সিনেটের অনেকের সমর্থন পাওয়া প্রয়োজন ছিল।
প্রগতিশীল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি এবং তার জোটের অংশীদার ফেউ থাই পার্টি ১৪ মের নির্বাচনে রক্ষণশীল-সামরিকপন্থি দলগুলোকে পরাজিত করেছিল। ওই নির্বাচনে এক দশক ধরে চলমান সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করে।
বৃহস্পতিবারের ভোট ছিল পিটার রাজনৈতিক প্রভাবের এবং তার দলের স্টাব্লিশমেন্ট-বিরোধী এজেন্ডার একটি পরীক্ষা। তাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে রাজনীতি থেকে সামরিক বাহিনীকে অপসারণ, বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং রাজতন্ত্রের অবমাননার জন্য দীর্ঘ কারাবাসের আইন সংশোধন করা।
সাংবাদিকদের কাছে প্রথম দফার ভোটের ফলাফল মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে বলেন, আমি হাল ছাড়ছি না।