ভৈরবের গৃহবধূ সোনিয়া আক্তারের লাশ হস্তান্তরে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ৮ জুলাই ভৈরব থানায় আনা হলে থানার উপ-পরিদর্শক মাজাহার হোসেন ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা নেওয়ার পর লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার ছয়দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে সোনিয়ার বাবা আক্তার হোসেন এ অভিযোগ করেন। শুক্রবার রাতে একটি বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি জানান, এত টাকা দিতে পারব না বলায় তার সঙ্গে উপ-পরিদর্শক মাজাহার দুর্ব্যবহার করেন। পরে ধারদেনা করে টাকা দেওয়া হলে লাশ হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, সোনিয়া আত্মহত্যা করেছে-এটা আমি বিশ্বাস করি না। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তার স্বামী আরমান মিয়া তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে পুলিশ আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে অপমৃত্যু মামলা করে। তিনি বলেন, ঘুসের টাকা ফেরত চাই এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি জানাচ্ছি।
তবে ঘুস নেওয়ার কথা অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক মাজাহার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, লাশ হস্তান্তর বাবদ কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি। অপমৃত্যু মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাদী নিজে স্বাক্ষর দিয়ে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। এখন কি কারণে তা অস্বীকার করছেন আমি জানি না।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, লাশ নিতে পুলিশকে কেন টাকা দিতে হবে? অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতাম। অপমৃত্যুর মামলা আক্তার হোসেন নিজেই করেছেন। এখন অন্য কারও পরামর্শে হয়তো তিনি তা অস্বীকার করছেন।
উল্লেখ্য, ৭ জুলাই রাতে ভৈরবের কালিপুর গ্রামের গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী সোনিয়া আত্মহত্যা করেন। পরদিন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ভৈরব থানায় আনা হলে পরিবহণ ও অন্য খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।