ঠাকুরগাঁওয়ে এগারো বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্র মুরাদ হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়রা। এসময় প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।
১৬ জুলাই (সোমবার) সকালে জেলা শহরের চৌরাস্তায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসুচিতে অংশ নেয় পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়রা। মামলা হলেও আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় রাজপথে এমন আন্দোলনে ফুঁসে উঠেন তারা। এ অবস্থায় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও প্রায় দেড় ঘন্টার বেশি সময় ধরে আটকা পরে চার উপজেলায় প্রবেশ প্রথের যানবাহন।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে অবরোধ তুলে নিতে অবরোধকারিদের অনুরোধ জানানোর পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ছত্রভঙ্গ করার ভুমিকা পালন করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ও অবরোধ কারিদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে প্রশানের উর্ধতন কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারিদের আশ্বস্ত করলে প্রতিবাদের পর অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা।
এসময় স্বজন ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সেই আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বাকি আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। হত্যার ঘটনায় অভিভাবকরা শিশুদের পাঠদানে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। এমন ঘটনার বিচার না হলে এমন ঘটনা পুনরায় ঘটার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন তারা।
অবরোধকারিদের আশ্বস্ত করে সদর সার্কেল মিথুন সরকার জানান, আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের বের করবে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো মুরাদ হোসেন।গত ৩ মে নিখোঁজের পরদিন মাদ্রাসার পাশে ভুট্টা ক্ষেতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লাশ পাওয়া যায় মুরাদের। এ ঘটনায় লাশ উদ্ধারের দু’দিনপর নিহত শিশুর বাবা দারুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে মাসুদ রানা নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পায় মাসুদ রানা।