পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভার নির্বাচনে ফাইজুর রশিদ থসরু জোমাদ্দার (নৌকা প্রতীক) ৯ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) মাহিবুল হোসেন মাহিম (বাই সাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ৫ হাজার ৭১ ভোট।
নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত কাউন্সিলরবৃন্দ হলেন- ১নং ওয়ার্ডে মো. ছিদ্দিকুর রহমান (পাঞ্জাবী প্রতীক), ২নং ওয়ার্ডে এনামুল কবির টিপু তালুকদার (উট পাখি প্রতীক), ৩নং ওয়ার্ডে আহাদুল ইসলাম খান রুবেল (ডালিম প্রতীক), ৪নং ওয়ার্ডে আব্দুল কাদের হাওলাদার (পানির বোতল), ৫নং ওয়ার্ডে শাহীন মুন্সী, ৬নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার সিকদার (উট পাখি) ৭নং ওয়ার্ডে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডে মো. মিলন এবং ৯নং ওয়ার্ডে মো. গিয়াস উদ্দীন।পৌরসভার ৩টি সংরক্ষিত (নারী) আসনে নির্বাচিতরা হলেন- ১নং আসনে সাবিনা ইয়াসমিন খান (১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড) ২নং আসনে ইসরাত জাহান (৪, ৬ ও ৬নং ওয়ার্ড), ৩নং আসনে জেসমিন আক্তার (৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড)।জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মো. জিয়াউর রহমান খলিফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভা প্রথম নির্বাচন সোমবার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়ে। তবে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির কারণে ভোটাররা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে আসা শত শত নারী ভোটাররা এমনই অভিযোগ করেছেন।সোমবার পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের প্রচুর লাইন থাকায় কোন কোন কেন্দ্রে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করতে হয়েছে।২০১৫ সালে ভান্ডারিয়া পৌরসভা গঠনের পর এই প্রথমবার এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে শহর ও কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রদান করেছেন। পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (বরিশাল) মো. আলাউদ্দিন জানান, ইভিএম পদ্ধতির এখানে প্রথম, এ কারণে ভোটারদের ভোট প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হয়। তবে পরে এটা ঠিক হয়ে যায়। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া র্যাব, বিজিবি এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।