আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণের চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
তবে বিদ্যমান ১৪ দলীয় জোট একই থাকবে। ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী জোটে নতুন রাজনৈতিক দল যুক্ত হতে পারে।
বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মানন, হাসানুল হক ইনু, ডা. শাহাদাত হোসেন, নজিবুল বাসার মাইজভাণ্ডারী উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয়ে নৈশভোজের বিরতিসহ বৈঠক চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আগের নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনেও ১৪ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করবে ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সূচনা বক্তব্য দেন, এরপর অন্যান্য নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে সাম্প্রতিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের উপর আলোকপাত করা হয়। এছাড়া সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৪ দলীয় জোটে বেশ কয়েকটি দল যোগ দিতে চায় এমন প্রসঙ্গ উঠলে তখন আলোচনা হয়, বিএনপি ৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে পদযাত্রা করছে ও আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে সমমনাদের নিয়ে নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ করবে।