আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেছেন,শেখ হাসিনার অপরাধ, তিনি দেশের উন্নয়ন করেছেন।এটা বিএনপির মেনে নিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহত করা হবে। যেকোনো সময় মাঠে নামার জন্য নেতা–কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ ছাড়বেন না। ডাক দিলেই চলে আসবেন।
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০ জুলাই বৃহষ্পতি বার বিকালে কমলনগরের জমিদার হাট ভাই ভাই কমিউনিটি সেন্টারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা, পৌর ও সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক, সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃদ্ধ উপস্থিত ছিলেন । আরও উপস্থিত ছিলেন,কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেল, ও সাধারণ সম্পাদক মো:হারুনঅর রশিদ চৌধুরী লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদ, রামগতি পৌরসভার মেয়র জনাব মেজবাহ উদ্দিন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতলুব প্রমুখ।
ফরিদুর নাহার লাইলি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু নৌকা, আওয়ামী লীগের নৌকা, এবং শেখ হাসিনার নৌকার জন্য কাজ করি কোন একক ব্যক্তির জন্য কাজ করি না। আমি আওয়ামী লীগের কারোর শত্রু নয়।
ফরিদুন্নাহার লাইলী আরোও বলেন, বিএনপি ভোটে এলে হেরে যাবে, সেই ভয় থেকেই তারা শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেনা। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। তারা শেখ হাসিনার মতো সৎ প্রধানমন্ত্রী আর কাউকে পাইনি। জনপ্রিয় নেতা পাইনি। সাহসী নেতা পাইনি। তাই তারা সেই শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না।
বিএনপির উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, তারা মেট্রোরেল চায়নি। পদ্মা সেতু চায়নি। কর্ণফুলী টানেল চায়নি। রূপপুর প্রকল্প তাদের পছন্দ নয়। তারা শেখ হাসিনাকেও পছন্দ করে না। তার অপরাধ, তিনি উন্নয়ন করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
এ সময় বক্তরা ফরিদুন্নাহার লাইলী তাকে নিয়ে বলেন- তিনি দীর্ঘকাল যাবত লক্ষ্মীপুর- ০৪ ( রামগতি-কমলনগর) আসনের প্রকৃত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখবাল করে আসছেন। এই নদী ভাঙা জনপদের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষা ও উন্নয়নের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে তিনি এমপি থাকাকালীন মহান জাতীয় সংসদে এই এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধ ও জনগণের উন্নয়নে বহু দাবি উত্থাপন করেছেন এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন।
তিনি এই এলাকার জনগণের প্রিয় নেতা ও মধ্যেমণি হয়ে উঠেছেন দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়; জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে উনিও পেয়েছেন এই এলাকার জনগণের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। পরম মমতায় তিনি আগলে রেখেছেন এই এলাকার জনগণ ও প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
কিছু সুবিধাবাদী চরিত্র ও কিছু হাইব্রিড নানাভাবে এই এলাকার প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মামলা হামলা ও হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। এইসব নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর, চিকিৎসা সহযোগিতা ও আইনি সহযোগিতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ফরিদুন্নাহার লাইলী এই জনপদে প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আগলিয়ে রেখেছেন এবং এই জনপদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবস্থান সুসংহত করেছেন।
