স্প্রে মেশিনের অভাবে মশা নিধনে নামতে পারছে না ইউনিয়ন পরিষদ

,
স্প্রে মেশিনের অভাবে মশা নিধনে নামতে পারছে না ইউনিয়ন পরিষদ

সারাদেশের মতো যশোরেও বাড়ছে এডিস মশাবাহিত জ্বর ডেঙ্গুর বিস্তার। জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। আর তাই যশোর শহরে এডিস মশা নিধনে নেমেছে যশোর পৌরসভা।

কিন্তু শহরের মত গ্রাম এলাকায় এডিস মশা নিধনে কোন কার্যক্রম নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মশা নিধনের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। মশা নিধনে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কাছে স্প্রে মেশিন না থাকায় শহরের মত গ্রাম পর্যায়ে কোন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না।

মশার বিস্তার রোধে যশোর পৌর এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য বিদেশি ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। অথচ ইউনিয়ন পর্যায়ে মশা নিধনে কোন কিছুই করা হচ্ছে না।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলছেন, মশার ওষুধ স্প্রে করার মেশিন নেই। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনেকবার এ বিষয়ে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন স্প্রে মেশিন দেয়া হবে।

যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত ২১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২ জন। একটু জ্বর হলে মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ছুটছেন। শুধু শহরের মানুষ নয়, ইউনিয়ন থেকেও মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসছেন। অথচ ইউনিয়ন পর্যায়ে এখনো মশা নিধন কার্যক্রম শুরুই হয়নি।

শহরের কাছের ইউনিয়ন নওয়াপাড়া। এ ইউনিয়নের সীমানার এক পাশে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিআইজি রোড। অপর পাশে উপশহর ইউনিয়ন। এই দুই এলাকায় অনেকগুলো ড্রেন রয়েছে। যেখান থেকে এডিস মশার জন্ম হতে পারে। এর প্রভাব ইউনিয়নে পড়তে পারে। ইউনিয়নবাসী মশা নিধনের জন্য চেয়ারম্যানকে জানালেও মশা নিধনের জন্য স্প্রে করতে পারছেন না। কারণ, পরিষদের কাছে মশা মারার স্প্রে মেশিন নেই।

এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন জানান, তাদের কাছে মশা নিধনের ওষুধ ও স্প্রে মেশিন নেই। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনেকবার এ বিষয়ে বলেও কোন লাভ হয়নি। তবে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম চলছে।
একই কারণে উপশহর ইউনিয়নের ড্রেনগুলোয় মশার ওষুধ ছেটানো যায়নি।

উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, এখানে অনেক মশা। মানুষকে মশার কয়েল জালিয়ে থাকতে হচ্ছে।
একই কথা জানান, লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন। তিনি বলেন, এডিস মশা যাতে ঝোপঝাড়ে না জন্মায় এজন্য অনেক ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু জায়গায় কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে কেউ ডাবের বা নারকেলের খোলা যেখানে সেখানে ফেলে না রাখে ও তাতে পানি না জমে। একই কথা জানান আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে যাতে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।

যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, চেয়ারম্যানরা নিজ দায়িত্বে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম করবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্প্রে মেশিনের অভাবে মশা নিধনে নামতে পারছে না ইউনিয়ন পরিষদ

স্প্রে মেশিনের অভাবে মশা নিধনে নামতে পারছে না ইউনিয়ন পরিষদ

সারাদেশের মতো যশোরেও বাড়ছে এডিস মশাবাহিত জ্বর ডেঙ্গুর বিস্তার। জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে যাচ্ছে। আর তাই যশোর শহরে এডিস মশা নিধনে নেমেছে যশোর পৌরসভা।

কিন্তু শহরের মত গ্রাম এলাকায় এডিস মশা নিধনে কোন কার্যক্রম নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মশা নিধনের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। মশা নিধনে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর কাছে স্প্রে মেশিন না থাকায় শহরের মত গ্রাম পর্যায়ে কোন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না।

মশার বিস্তার রোধে যশোর পৌর এলাকায় এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য বিদেশি ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। অথচ ইউনিয়ন পর্যায়ে মশা নিধনে কোন কিছুই করা হচ্ছে না।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলছেন, মশার ওষুধ স্প্রে করার মেশিন নেই। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনেকবার এ বিষয়ে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন স্প্রে মেশিন দেয়া হবে।

যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত ২১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২ জন। একটু জ্বর হলে মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ছুটছেন। শুধু শহরের মানুষ নয়, ইউনিয়ন থেকেও মানুষ ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসছেন। অথচ ইউনিয়ন পর্যায়ে এখনো মশা নিধন কার্যক্রম শুরুই হয়নি।

শহরের কাছের ইউনিয়ন নওয়াপাড়া। এ ইউনিয়নের সীমানার এক পাশে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডিআইজি রোড। অপর পাশে উপশহর ইউনিয়ন। এই দুই এলাকায় অনেকগুলো ড্রেন রয়েছে। যেখান থেকে এডিস মশার জন্ম হতে পারে। এর প্রভাব ইউনিয়নে পড়তে পারে। ইউনিয়নবাসী মশা নিধনের জন্য চেয়ারম্যানকে জানালেও মশা নিধনের জন্য স্প্রে করতে পারছেন না। কারণ, পরিষদের কাছে মশা মারার স্প্রে মেশিন নেই।

এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন জানান, তাদের কাছে মশা নিধনের ওষুধ ও স্প্রে মেশিন নেই। উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা অনেকবার এ বিষয়ে বলেও কোন লাভ হয়নি। তবে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রম চলছে।
একই কারণে উপশহর ইউনিয়নের ড্রেনগুলোয় মশার ওষুধ ছেটানো যায়নি।

উপশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু বলেন, এখানে অনেক মশা। মানুষকে মশার কয়েল জালিয়ে থাকতে হচ্ছে।
একই কথা জানান, লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন। তিনি বলেন, এডিস মশা যাতে ঝোপঝাড়ে না জন্মায় এজন্য অনেক ঝোপঝাড় কেটে ফেলা হয়েছে। কিছু জায়গায় কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে কেউ ডাবের বা নারকেলের খোলা যেখানে সেখানে ফেলে না রাখে ও তাতে পানি না জমে। একই কথা জানান আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম।

যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে যাতে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।

যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, চেয়ারম্যানরা নিজ দায়িত্বে এডিস মশা নিধন কার্যক্রম করবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত