নেত্রকোণায় শ্বশুরের বাসায় জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩

আব্দুর রহমান ঈশান জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
নেত্রকোণায় শ্বশুরের বাসায় জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩

নেত্রকোনা শহরের পশ্চিম কাটলি এলাকায় শ্বশুরালয়ে রাজন মিয়া (২৩) নামে এক টাইলস মিস্ত্রীর রহ্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ সদর হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাইলস মিস্ত্রী রাজনের স্ত্রী ঝুমা, শ্বশুর রফিকুল ও-শ্বাশুড়ি নাসিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিতের স্বজনরা জানায়, গত ডিসেম্বর মাসে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বিশকা ইউনিয়নের সনুরা গ্রামের হেলিম মিয়ার ছেলে রাজনের সাথে পাশ্ববর্তী গৌরীপুর থানার মনাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ঝুমা আক্তারের (১৯) বিয়ে হয়। নেত্রকোনা শহরের পশ্চিম কাটলি এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন রাজনের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। মেয়ে ঝুমা বাবা মায়ের সাথে থাকায় তার স্বামী রাজনও সেখানেই থাকতেন। গত মঙ্গলবার রাতে রাজনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজন আত্মহত্যা করেছে বলে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর রাজনের লাশ পুলিশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে রাজনের স্বজনদের খবর দেয়।

রাজনের চাচা খাইরুল ইসলাম আপন জানায়, রাজনকে ডেকে এনে হত্যা করেছে তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। রাজন যেভাবেই মারা যাক তাদের উচিৎ ছিলো ঘটনাটি জানানোর। কিন্তু তারা কেউ জানায়নি। আমরা থানা থেকে খবর পেয়ে এসেছি। রাজনের স্ত্রী ঝুমা একাধিক ছেলের সাথে কথা বলতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়ে তারা গত দু মাস ধরে আলাদা হয়ে গেছে। ্এখন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বললেও এটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে চাচা অভিযোগ করেন।

এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে আমাদেরকে পশ্চিম কাটলির বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম জানান আত্মহত্যা করেছে রাজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই লাশ হাসপাতালে তারা নিজেরাই নিয়ে যায়। অমরা সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। যেহেতু অভিযোগ আছে এবং তার স্ত্রীর সাথে বিরোধ ছিলো আমরা রাজনের স্ত্রী ঝুমা, শ্বশুর রফিকুল ও শ্বাশুড়ি নাসিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে এনেছি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নেত্রকোণায় শ্বশুরের বাসায় জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩

নেত্রকোণায় শ্বশুরের বাসায় জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩

নেত্রকোনা শহরের পশ্চিম কাটলি এলাকায় শ্বশুরালয়ে রাজন মিয়া (২৩) নামে এক টাইলস মিস্ত্রীর রহ্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ সদর হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাইলস মিস্ত্রী রাজনের স্ত্রী ঝুমা, শ্বশুর রফিকুল ও-শ্বাশুড়ি নাসিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও নিতের স্বজনরা জানায়, গত ডিসেম্বর মাসে ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বিশকা ইউনিয়নের সনুরা গ্রামের হেলিম মিয়ার ছেলে রাজনের সাথে পাশ্ববর্তী গৌরীপুর থানার মনাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ঝুমা আক্তারের (১৯) বিয়ে হয়। নেত্রকোনা শহরের পশ্চিম কাটলি এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন রাজনের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। মেয়ে ঝুমা বাবা মায়ের সাথে থাকায় তার স্বামী রাজনও সেখানেই থাকতেন। গত মঙ্গলবার রাতে রাজনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজন আত্মহত্যা করেছে বলে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর রাজনের লাশ পুলিশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে রাজনের স্বজনদের খবর দেয়।

রাজনের চাচা খাইরুল ইসলাম আপন জানায়, রাজনকে ডেকে এনে হত্যা করেছে তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। রাজন যেভাবেই মারা যাক তাদের উচিৎ ছিলো ঘটনাটি জানানোর। কিন্তু তারা কেউ জানায়নি। আমরা থানা থেকে খবর পেয়ে এসেছি। রাজনের স্ত্রী ঝুমা একাধিক ছেলের সাথে কথা বলতো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়ে তারা গত দু মাস ধরে আলাদা হয়ে গেছে। ্এখন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বললেও এটিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে চাচা অভিযোগ করেন।

এদিকে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে আমাদেরকে পশ্চিম কাটলির বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম জানান আত্মহত্যা করেছে রাজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই লাশ হাসপাতালে তারা নিজেরাই নিয়ে যায়। অমরা সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। যেহেতু অভিযোগ আছে এবং তার স্ত্রীর সাথে বিরোধ ছিলো আমরা রাজনের স্ত্রী ঝুমা, শ্বশুর রফিকুল ও শ্বাশুড়ি নাসিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে এনেছি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত