কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পাওনা ৬০০ টাকার জন্য নূর আলম (৩৭) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন চমকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে এজাহারভুক্ত মূল আসামি রফিক মিয়া (৩০), উপজেলার ভুনা গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আকাশ মিয়া (২৬) ও একই গ্রামের মৃত ছালেক খানের ছেলে হাদিস খাঁ (৪৮)।
নিহত নূর আলম উপজেলার চমকপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার চমকপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে নূর আলমের কাছে দীর্ঘদিন যাবত পাওনা ৬০০ টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে গত সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে নূর আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তারা। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরদিন দুপুরে জনৈক মিন্টু মিয়ার পাটক্ষেত থেকে ওড়না দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নূর আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত নূর আলমের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে বুধবার বিকালে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা পর কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ ২৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত মূল আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
এদিকে এজাহারভুক্ত মূল আসামি রফিক মিয়াকে বুধবার বিকালে আদালতে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গ্রেফতার অন্য দুই আসামিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।