জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো ‘আমরণ অনশনে’

,
জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো ‘আমরণ অনশনে’
আমরণ অনশনের বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা

টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘটের পর প্রশাসনের কাছ থেকে আশানুরূপ আশ্বাস না পাওয়ায় ১৪ তম দিনে আমরণ অনশনের বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা।

আজ রবিবার ( ৩০ জুলাই) সকাল সাতটা থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।গত ১৭ জুলাই (সোমবার) থেকে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তাঁরা।তাদের এক দফা দাবি হচ্ছে- চাকরি স্থায়ীকরণ করা।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্বারকলিপি দিয়েছেন। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। সবশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তাঁরা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোয় নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছিলেন তাঁরা। অবস্থান ধর্মঘটেও প্রশাসন কর্ণপাত না করায় আজকে থেকে তাঁরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন।

কর্মচারীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাঁদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

অবস্থান ধর্মঘট চলাকালীন প্রায় ১৭ জন কর্মচারী অসুস্থ হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৩ দিন ধরে আমরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি, এর মধ্যে আমাদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়েছে। এই ১৩ দিনে আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে আশানুরূপ কোনো আশ্বাস পাই নাই, এজন্য আমরা আজকে থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। আমদের একটাই দাবি হয় চাকরি না হয় মৃত্যু।’

এদিকে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে আলোচনা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, “চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুলাই) ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের মধ্য থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার জন্য অনুরোধ করে। তবে ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি ইউজিসির বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো ‘আমরণ অনশনে’

জাবির অস্থায়ী কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট গড়ালো ‘আমরণ অনশনে’
আমরণ অনশনের বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা

টানা ১৩ দিন অবস্থান ধর্মঘটের পর প্রশাসনের কাছ থেকে আশানুরূপ আশ্বাস না পাওয়ায় ১৪ তম দিনে আমরণ অনশনের বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা।

আজ রবিবার ( ৩০ জুলাই) সকাল সাতটা থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।গত ১৭ জুলাই (সোমবার) থেকে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তাঁরা।তাদের এক দফা দাবি হচ্ছে- চাকরি স্থায়ীকরণ করা।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্বারকলিপি দিয়েছেন। একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। সবশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তাঁরা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোয় নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে ছয় মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছিলেন তাঁরা। অবস্থান ধর্মঘটেও প্রশাসন কর্ণপাত না করায় আজকে থেকে তাঁরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন।

কর্মচারীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাঁদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

অবস্থান ধর্মঘট চলাকালীন প্রায় ১৭ জন কর্মচারী অসুস্থ হয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৩ দিন ধরে আমরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি, এর মধ্যে আমাদের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়েছে। এই ১৩ দিনে আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে আশানুরূপ কোনো আশ্বাস পাই নাই, এজন্য আমরা আজকে থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। আমদের একটাই দাবি হয় চাকরি না হয় মৃত্যু।’

এদিকে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে আলোচনা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, “চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুলাই) ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁদের মধ্য থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার জন্য অনুরোধ করে। তবে ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদ দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি ইউজিসির বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত