একদিন আগে মুক্তি পেয়েছে বলিউডের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি। এ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ সাত বছর পর ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়েছেন কারান জোহর। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গাল্লি বয়-এর পর ফের জুটি বেঁধেছেন রণবীর সিং এবং আলিয়া ভাট।
তবে সিনেমা মুক্তির পর আলিয়া-রণবীর বা কারান জোহরের চেয়ে আলোচনায় বেশি এসেছেন ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজমি। রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি সিনেমায় তাদের একত্রে একটি চুম্বনদৃশ্য আছে। সিনেমায় ধর্মেন্দ্র-শাবানা আজমির সেই চুম্বনদৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সাড়া ফেলেছে।
“রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি” সিনেমায় ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজমি একে অন্যের হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাতি-নাতনির সুবাদে তাদের পুনর্মিলনী হবে। সিনেমাটি মুক্তির পর অনেকেই পর্দায় ধর্মেন্দ্র ও শাবানার রোম্যান্সের প্রশংসা করেছেন। আর সেটির কেন্দ্রে যে সেই চুম্বনদৃশ্যই প্রধান উপজীব্য, সেটি না বলে দিলেও চলছে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং ধর্মেন্দ্র। বলিউডের প্রবীণ এ অভিনেতা জানান, দৃশ্যটি ধারণের সময় তার এবং শাবানার মধ্যে বিন্দুমাত্র অস্বস্তি কাজ করেনি। তাছাড়া, পরিচালক কারান জোহরও দৃশ্যটি নান্দনিকভাবে ধারণ করেছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
নেটওয়ার্ক ১৮কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাবানা আজমির সঙ্গে চুম্বনদৃশ্যের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র বলেন, আমি শুনেছি যে শাবানা এবং আমার চুম্বনদৃশ্য নাকি দর্শকদের অবাক করেছে। দর্শকরা আমাদের রসায়ন পছন্দও করেছেন। তবে আমার মনে হয় লোকজন এটা আশা করেননি, এটা হঠাৎ করে ঘটেছে, তাই এই ঘটনা একটা প্রভাবিত করেছে। আমি ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ সিনেমায় নাফিসা আলির সঙ্গে সর্বশেষ চুম্বনদৃশ্য করেছিলাম। সেটিও দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল।
৮৭ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র জানান, তিনি এবং শাবানা দুজনই বুঝতে পেরেছিলেন যে চুম্বনদৃশ্যটি সিনেমার জন্য অপরিহার্য এবং বাস্তবিক। তাছাড়া দৃশ্যটি জোর করে নয়, ছবির প্রয়োজনেই রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এ অভিনেতা বলেন, আমার মনে হয় রোমান্সের কোনো বয়স হয় না। শেষে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, আমার সবসময় মনে হয় যে আমি আরো ভাল করতে পারতাম।
২৮ জুলাই মুক্তি পাবে রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি। মুক্তির আগে সিনেমার ওপর ছুরি কাঁচি চালায় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)। ভারতের সেন্সর বোর্ডের এ আপত্তির মুখে সিনেমার বেশ কয়েকটি দৃশ্য আর সংলাপ বাদ পড়ে। পাশাপাশি কয়েকটি অশালীন শব্দেও আসে পরিবর্তন। মুক্তির পর সিনেমাটি প্রথম দুই দিনে বক্স অফিসে ২৭ কোটি রুপি আয় করেছে।