দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ২৯ জুলাই নেত্রকোনা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের ২ দিন পর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের মনোনীত প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ইতিহাসে মাত্র ২৫ বছর বয়সে জেলার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন আওয়ামী পরিবারের সন্তান তরুণ প্রজন্মের প্রচন্ড অহংকার আরেফিন কায়সার শুভ। উল্লেখ্য ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে সর্ব কনিষ্টতম ছিলেন আরেফিন কায়সার শুভ।
নেত্রকোনা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জেলা শাখার ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।
দীর্ঘ ৮ বছর পর এ সম্মেলনে উদ্বোধক হিসাবে বক্তব্য দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব কলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারন সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ গত কমিটির সভাপতি মারুফ হাসান অভ্র’র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান লিটুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযুদ্ধা আহমদ হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল (এমপি), কার্যনিবাহী সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযুদ্ধা মো: আশরাফ আলী খান খসরু (এমপি), সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেপালি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিরোধ যোদ্ধা অসীত সরকার সজল, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অপু উকিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুর রহমান খান ইরান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সারোয়ার মুর্শেদ আকন্দ জাস্টিস প্রমুখ।
নব গঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরেফিন কায়সার শুভ বিগত কমিটির জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সহ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন থেকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জেলা থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন।
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছায়াতলে আনতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। বিগত ত্রি বার্ষিক সম্মেলন তার জলন্ত প্রমান। বিভিন্ন উপজেলা ,ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায় থেকে দলে দলে লোকজন মিছিল করে ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে জমায়েত হয়। তাদের স্লোগানে একটাই চাওয়া ছিল বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধান মন্ত্ররীর আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুন প্রজন্মের প্রচন্ড অহংকার,নেত্র রাজপথের পরীক্ষিত তরুণ তুর্কি,স্বেচ্ছাসেবক লীগকে তরুণদের কাছে স্মার্ট হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য আরেফিন কায়সার শুভকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মনোনিত করা। তরুণ বয়সে শুভর আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তায় কর্মীদের এ দাবি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মনে জায়গা করে নেয়।
পারিবারিকভাবেই আওয়ামী পরিবারে বেড়ে ওটা শুভ কিশোর বয়স থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুভর বাবা কায়সার আহমেদ শহীদ আশির দশকে (৮৩-৮৪ সাল) নেত্রকোনা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সেই সাথে বিভিন্ন আওয়ামী পেশা জীবি সংগঠন এর দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কেন্দ্রীয় পরিষদের কার্যকরী সদস্য এবং সাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ ,কৃষি ব্যাংক আঞ্চলিক পরিষদ নেত্রকোনার সাধারণ সম্পাাদক হিসাবে দায়িত্ত্ব পালন করছেন। এছাড়ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন এর বার বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শুভর এ অর্জনে খুশিতে আবেগ আপ্লুত হয়ে নেত্রকোনার ঐতিজ্যবাহী মধুমাছি কচি-কাঁচা বিদ্যানিকেতনের শুভর তৎকালীন শিক্ষক জনাব মিলন্ট সাহেব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন যা হুবহু উল্লেখ করা হল“ মধুমাছি কচি-কাঁচা বিদ্যানিকেতনে ৩য় শ্রেণিতে অধ্যয়ন কালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা চরিত্রে সুনিপুন অভিনয়ের মাধ্যমে মেলার কর্মী হিসাবে সাংগঠনিক অভিযাত্রা হয়েছিল তোমার। শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম এবং আমি সেই সময়ের গর্বিত সাক্ষী। আলিবর্দি খানের শেষ উপদেশ তুমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। সোনার বাংলা রক্ষার দায়িত্ব তুমি সেই ছোটবেলায় নিয়েছিলে,সে কথা ভুলে যেও না”। সামাজিক মাধ্যমে এরকম হাজারো কমেন্টস আর ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন শুভ।
সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নতুন দায়িত্ত্ব পাওয়ার পর অনুভুতি এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার উপর আস্থা রেখে যে গুরু দায়িত্ব অর্পন করেছেন তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। এ জন্য তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে আগামী জাতীয় নিবার্চনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে স্মার্ট এবং একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়তে চান যাতে আগামী দিনে যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য তিনি সবার আন্তরিক সহযোগিতা চান।
