আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার সাধারণ মানুষ । ৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানির মামলা করেছে এই স্বৈরাচারী সরকার।বিএনপি সরকারের আমলে কোন সাধারণ মানুষ মিথ্যা ও হয়রানি মামলার স্বীকার হয়েছে এমন কেউ বলতে পারবেনা।আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার আবারো বিএনপির নেতাদের হয়রানি শুরু করেছে। তারা বিএনপির শক্ত ক্যান্ডিডেট যারা আছে তাদের নামে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখতে চায়।
১৬ আগষ্ট (বুধবার) দুপুরে জেলা শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তন হলরুমে জেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন,পরিষ্কার করে সরকারকে বলতে চাই অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এদেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে। তারা জানান দিয়েছে আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টাও করবেন না। করতে দেওয়া হবে না। এদেশের মানুষ তা করতে দেবে না। এখন শুধু আমরা নই, এখন আন্তর্জাতিক বিশ্ব বলছে। অতীতের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যদি এবারের নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু অবাধ না হয় তাহলে সেই নির্বাচন গ্রহণ করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি আজ সকল শক্তিতে বলিয়ান, মানুষের শক্তিতে বলিয়ান আন্তর্জাতিক শক্তিতে বলিয়ান। সুতরাং সকল শক্তিকে একত্রিত করে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা। ৪০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা। সত্যিকার অর্থে সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করতে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে চায় তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।আজকের এই আন্দোলন আমাদের জীবন মরণের আন্দোলন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে বাধ্য করবো পদত্যাগ করতে।
এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।