শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের দেশ থাকবে: শ ম রেজাউল

মো: নাঈম কাজী জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের দেশ থাকবে: শ ম রেজাউল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্জন করতে ত্রিশ লক্ষ মানুষ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, মা-বোনেরা তাদের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছেন, আামাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনকে উৎসর্গ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, অসংখ্য মানুষ আত্মআহুতি দিয়েছেন, জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।

মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ৩১ আগষ্ঠ বিকালে নাজিরপুর ষ্টেডিয়াম শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সভার আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ‘৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত বিএনপি-জামায়াত চক্ররা এখন আবার রাজনীতিতে নতুন চাল শুরু করেছে। তা হল বিদেশীদের ওপর ভর করে। এখন তারা সিলেক্ট করেছে, সুদখোর ড. ইউনুসকে নিয়ে। তার পক্ষে এখন বিদেশের ভাড়াটিয়াদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়াচ্ছে, কিন্তু এতে কিছু যায়-আসেনা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তাই আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, তাদেরকে মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা থাকলে জয় বাংলার বাংলাদেশ থাকবে, ত্রিশ লাখ শহীদের বাংলাদেশ থাকবে, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের বাংলাদেশ থাকবে।মন্ত্রী বলেন, বঙ্গন্ধুর খুনিদের বাঁচাবার জন্য যে আইনটি হয়েছিল সেটিও পাশ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরে ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিলের মাধ্যমে। কাজেই বঙ্গবন্ধুর খুনের নাটের গুরু, প্রধান কারিগর, প্রধান ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান। আর শেখ হাসিনাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তার কারিগর ছিল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান ।মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১-১৯৭৫ ও ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট একই সূত্রে গাঁথা। বিএনপি জামাত আবার ক্ষমতায় আসলে লাল সবুজের পতাকার পরিবর্তে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করতে চাইবে।
শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা, কাজেই আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করি তাদের মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা থাকলে জয় বাংলার বাংলাদেশ থাকবে। ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা-বোনের বাংলাদেশ থাকবে, আর শেখ হাসিনা না থাকলে সব ধ্বংশ হয়ে যাবে। আবার রাজাকার জামাত-শিবির, দূর্নীতিবাজ বিএনপি ওরা ক্ষমতায় আসবে। সে কারনে আমাদের দায়িত্ব আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মনে রাখতে হবে, আজ আবারও পরাজিত সেই শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হত্যার দায়ে সাজা প্রাপ্ত তারেক রহমান ও দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় আনতে চায়। আমাদের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। এ সভায় মন্ত্রী বলেন, আর কোন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারবে না। কারন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এখন আমাদের ছোট ছোট শিশুরাও জানে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে যে কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে সংগঠিত করেছিলেন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বাংলার বুকে আর কোন নেতা সেটা করেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের মাইলফলক তৈরি করেছেন স্বাধীনতার পর আজ অব্দি কোন প্রধানমন্ত্রী সেই রেকর্ড তৈরি করতে পারেনি। ’৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো। আর এ হত্যার প্রধান কারন ছিলো আর্ন্তজাতিক চক্র।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সলের ৬ এপ্রিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য আইন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার কোন দুর্নীতি করেন না। তিনি দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স করেন। তার পরিবার কখনো কোন অবৈধ তদবির করেন না। খালেদা জিয়া ও তার পরিবার দুর্নীতির দায় আজ দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি দেশের জন্য, সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করব যেন (প্রধানমন্ত্রী) তিনি সকল বালা-মসিবত থেকে সুস্থ থাকেন। আল্লাহ যেন তাকে সহি-সালামতে এই দেশবাসি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সকলের সেবা করার সুযোগ দেন। বর্তমান সরকারের সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে এখন আর কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসায় মানুষের কোন অভাব নেই। কোন স্কুলে একজন ছাত্র বেতন দিতে না পারায় তাকে স্কুল থেকে আর বের করে দেয়া হয়না; এমন কোন দৃষ্টান্ত এ দেশে নেই। মন্ত্রী বলেন, এরকম একটি শান্তির রাষ্ট্র যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনিই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা তাঁর জন্য দোয় করি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পরাজিত শক্তিরা আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনেত আ’লীগ যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে বঙ্গবন্ধুর কন্যারা বেঁচে থাকলে উন্নত বাংলাদেশ হবে। আমাদের সকলের অস্তিত্ব বেঁচে থাকবে’।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. সরদার ফারুক আহম্মেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. এম.ডি. আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মো. শাহ আলম ফরাজী, শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নানু, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্জন কান্তি বিশ্বাস, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মোঃ ফারুক আব্দুল্লাহ, আওয়ামী স্বেচ্ছসেবকলীগ জেলা শাখার সাবেক আহবায়ক শফিউল হক মিঠু, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগে আহবায়ক সিকদার চাঁন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গোপাল বসু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পিরু, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসর, সদর উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান এস. এম বায়েজিদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ খান, নাজিরপুর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির, সাধারণ সম্পাদক আল আমীন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস, যুগ্ম আহবায়ক আল-আমীন সহ জেলা ও উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিটের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় দোয়ায় শরীহ হন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের দেশ থাকবে: শ ম রেজাউল

শেখ হাসিনা থাকলে ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্নের দেশ থাকবে: শ ম রেজাউল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্জন করতে ত্রিশ লক্ষ মানুষ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, মা-বোনেরা তাদের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছেন, আামাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনকে উৎসর্গ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, অসংখ্য মানুষ আত্মআহুতি দিয়েছেন, জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতা কর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।

মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ৩১ আগষ্ঠ বিকালে নাজিরপুর ষ্টেডিয়াম শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত সভার আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ‘৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত বিএনপি-জামায়াত চক্ররা এখন আবার রাজনীতিতে নতুন চাল শুরু করেছে। তা হল বিদেশীদের ওপর ভর করে। এখন তারা সিলেক্ট করেছে, সুদখোর ড. ইউনুসকে নিয়ে। তার পক্ষে এখন বিদেশের ভাড়াটিয়াদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়াচ্ছে, কিন্তু এতে কিছু যায়-আসেনা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। তাই আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, তাদেরকে মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা থাকলে জয় বাংলার বাংলাদেশ থাকবে, ত্রিশ লাখ শহীদের বাংলাদেশ থাকবে, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের বাংলাদেশ থাকবে।মন্ত্রী বলেন, বঙ্গন্ধুর খুনিদের বাঁচাবার জন্য যে আইনটি হয়েছিল সেটিও পাশ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরে ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে বিলের মাধ্যমে। কাজেই বঙ্গবন্ধুর খুনের নাটের গুরু, প্রধান কারিগর, প্রধান ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমান। আর শেখ হাসিনাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তার কারিগর ছিল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান ।মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১-১৯৭৫ ও ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট একই সূত্রে গাঁথা। বিএনপি জামাত আবার ক্ষমতায় আসলে লাল সবুজের পতাকার পরিবর্তে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করতে চাইবে।
শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা, কাজেই আমরা যারা আওয়ামীলীগ করি, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করি তাদের মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা থাকলে জয় বাংলার বাংলাদেশ থাকবে। ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ থাকবে সম্ভ্রম হারানো ২ লক্ষ মা-বোনের বাংলাদেশ থাকবে, আর শেখ হাসিনা না থাকলে সব ধ্বংশ হয়ে যাবে। আবার রাজাকার জামাত-শিবির, দূর্নীতিবাজ বিএনপি ওরা ক্ষমতায় আসবে। সে কারনে আমাদের দায়িত্ব আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের মনে রাখতে হবে, আজ আবারও পরাজিত সেই শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হত্যার দায়ে সাজা প্রাপ্ত তারেক রহমান ও দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় আনতে চায়। আমাদের সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। এ সভায় মন্ত্রী বলেন, আর কোন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করতে পারবে না। কারন মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এখন আমাদের ছোট ছোট শিশুরাও জানে। বঙ্গবন্ধু যেভাবে যে কঠিন পরিস্থিতিতে দেশকে সংগঠিত করেছিলেন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বাংলার বুকে আর কোন নেতা সেটা করেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের মাইলফলক তৈরি করেছেন স্বাধীনতার পর আজ অব্দি কোন প্রধানমন্ত্রী সেই রেকর্ড তৈরি করতে পারেনি। ’৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো। আর এ হত্যার প্রধান কারন ছিলো আর্ন্তজাতিক চক্র।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সলের ৬ এপ্রিল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য আইন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার কোন দুর্নীতি করেন না। তিনি দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স করেন। তার পরিবার কখনো কোন অবৈধ তদবির করেন না। খালেদা জিয়া ও তার পরিবার দুর্নীতির দায় আজ দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি দেশের জন্য, সকলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর জন্য দোয়া করব যেন (প্রধানমন্ত্রী) তিনি সকল বালা-মসিবত থেকে সুস্থ থাকেন। আল্লাহ যেন তাকে সহি-সালামতে এই দেশবাসি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সকলের সেবা করার সুযোগ দেন। বর্তমান সরকারের সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশে এখন আর কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসায় মানুষের কোন অভাব নেই। কোন স্কুলে একজন ছাত্র বেতন দিতে না পারায় তাকে স্কুল থেকে আর বের করে দেয়া হয়না; এমন কোন দৃষ্টান্ত এ দেশে নেই। মন্ত্রী বলেন, এরকম একটি শান্তির রাষ্ট্র যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনিই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমরা তাঁর জন্য দোয় করি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত মজুমদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পরাজিত শক্তিরা আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনেত আ’লীগ যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে বঙ্গবন্ধুর কন্যারা বেঁচে থাকলে উন্নত বাংলাদেশ হবে। আমাদের সকলের অস্তিত্ব বেঁচে থাকবে’।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, মহিলা আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহিয়া বেগম হাসি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. সরদার ফারুক আহম্মেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. এম.ডি. আউয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মো. শাহ আলম ফরাজী, শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নানু, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্জন কান্তি বিশ্বাস, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মীর মোঃ ফারুক আব্দুল্লাহ, আওয়ামী স্বেচ্ছসেবকলীগ জেলা শাখার সাবেক আহবায়ক শফিউল হক মিঠু, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগে আহবায়ক সিকদার চাঁন, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য গোপাল বসু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পিরু, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসর, সদর উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান এস. এম বায়েজিদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক, জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ খান, নাজিরপুর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়ায় ফেরদাউস রুনা, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির, সাধারণ সম্পাদক আল আমীন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস, যুগ্ম আহবায়ক আল-আমীন সহ জেলা ও উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিটের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় দোয়ায় শরীহ হন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত