পার্ক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে বের করে দিলেন ‘বিবেকসম্পন্ন’ সহসভাপতি

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
পার্ক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে বের করে দিলেন ‘বিবেকসম্পন্ন’ সহসভাপতি
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন যুবক ফারদিন ও তার মা/সংগৃহীত

ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অষ্টম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছিলেন অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিরা। মঞ্চের সামনে দিয়ে আপন মনে হাঁটছিলেন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক তরুণ। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দিতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলে উঠেছিলেন, “ও হাঁটছে, ওকে হাঁটতে দাও।”

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিলের সেই দিন বিনা বাধায় হাঁটার সুযোগ পেয়েছিলেন মো. এমরান হোসেন ফারদিন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছিল। সেই ফারদিনকে সম্প্রতি ঢাকার একটি পার্কে হাঁটায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টর পার্কে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে যান ফারদিনের মা জেসমিন মোশাররফ। সেখানেই বেঞ্চে বসা এক নারীর হাত ধরে টান দেন ২৮ বছর বয়সী অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তরুণ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী ১১ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতির কাছে অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে তার দাবি, ওই তরুণ তাকে শ্লীলতাহানি করেছেন।

একদিন পর অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তরুণ ও তার মাকে আটকে রেখে একটি অঙ্গীকারনামায় জেসমিনের সই নেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম। যেখানে লেখা ছিল, “ফারদিন ও জেসমিন আর কখনো এ পার্কে ঢুকতে পারবেন না।”

ওই তরুণের মায়ের অভিযোগ, অঙ্গীকারনামায় সই নেওয়া ছাড়াও ছেলে ও তাকে পুলিশে দেওয়া, ফারদিনকে বাথরুমে আটকে রাখার হুমকিসহ নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হয়।

সেই ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেসমিন বলেন, “১১ নম্বর পার্কে ছেলেকে নিয়ে হাঁটছিলাম। ছেলে অটিস্টিক। ডায়াবেটিস আছে। ইনসুলিন নিতে হয়। ১০ নম্বর সেক্টরে আমাদের বাসা, কিন্তু সেখানে পার্ক না থাকায় ছেলেকে নিয়ে ওই পার্কেই হাঁটতে যাই। সেদিন ছেলে বেঞ্চে বসে থাকা এক মেয়ের হাত ধরেছিল। এ অপরাধে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করা হয় আমাকে। ওই অঙ্গীকারনামায় টাইপ করে লেখা হয়েছে, আমি ছেলেকে নিয়ে আর পার্কে হাঁটতে যেতে পারব না। আমার জীবনে এখন পর্যন্ত এটিই সব থেকে দুঃখজনক ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “সেদিন ছিল প্রচণ্ড গরম। ফারদিন অস্থির হয়ে উঠেছিল। তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বারবার তাদের অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু আমাদের পুলিশে দেবে, ছেলেকে বাথরুমে আটকে রাখবে বলে হুমকি দিতে থাকে। তখন বলি, আমার ছেলেকে বাথরুমে আটকে রাখার দরকার নেই। সে যে অপরাধ করেছে তার জন্য বরং তাকে ফাঁসিতেই ঝুলিয়ে দেন।”

ফারদিনের বাবা চিকিৎসক এ কে এম মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমার ছেলে যার হাত ধরেছিল, তিনি একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। মেডিকেলপড়ুয়া একজনের অটিজম সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকবে না, এটা কেমন কথা। সরকার অটিজম সচেতনতায় কত কিছু করছে। আমার ছেলে–স্ত্রীর এভাবে অপমানিত হওয়ার ঘটনা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”

ফারদিনের মা জেসমিন বলেন, “অটিস্টিক বাচ্চার বাবা-মায়েরা শখ করে তো সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে যান না। ওরাও তো এ দেশের নাগরিক। ওদেরও তো অধিকার আছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ওকে হাঁটতে বাধা দেননি। এখন অঙ্গীকারনামা দিতে হয় যে ছেলেকে নিয়ে পার্কে যেতে পারব না।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার মীমাংসার উদ্যোগ নেয় পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এ নিয়ে একটি বৈঠকে অভিযোগ করা নারী, তার স্বামী এবং সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ফারদিনের মা-বাবার কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা চান।

এর আগে, লিখিত অভিযোগে ওই নারীর স্বামী দাবি করেন, “অপরিচিত এক তরুণ তার স্ত্রীর হাত ধরে টেনেছেন। তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।”

ওই অভিযোগের বিষয়ে নেওয়া অঙ্গীকারনামায় সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলামের নীল কালির সিল ব্যবহার করা হয়।

যেখানে এই ঘটনায় নেওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে লেখা ছিল, “অভিযুক্ত তরুণ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি পার্কে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটান। ভবিষ্যতে তিনি যাতে আর এই পার্কে না আসেন, অঙ্গীকারনামা নিয়ে এই বিষয়ে সতর্ক করা হলো।”

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোসাইটির সভাপতি আলতাফ হোসেন সরকার বলেন, “সহ-সভাপতি অতি উৎসাহী হয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমরা লজ্জিত। তিনি এভাবে সাদা কাগজে অঙ্গীকারনামা নিতে পারেন না। সহ-সভাপতি এবং অভিযোগ করা ওই নারী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। সহসভাপতি এ-ও কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।”

অঙ্গীকারনামার বিষয়ে ফারদিনের বাবা বললেন, “আমার ছেলে কথাও বলতে পারে না। অটিস্টিক বাচ্চাদের দেখলে যে কেউ তা বোঝার কথা। অথচ অভিযোগকারী ওই নারী আর সোসাইটির সহ-সভাপতি সেটা বুঝতে পারলেন না। সাদা কাগজে আমার স্ত্রীর সই নিয়ে তাতে মনগড়া অশ্লীল কথা লিখে রাখলেন। আমার ছেলে অপরাধী নয়, এরপরও তার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করা হয়েছে।”

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনে বলা আছে, ভৌত অবকাঠামো, যানবাহন, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ জনসাধারণের জন্য প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবায় অন্যদের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও সমান সুযোগ এবং সমান আচরণপ্রাপ্তির অধিকার রয়েছে।

আইনে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, পার্ক, স্টেশন, বন্দর, টার্মিনাল, সড়কসহ সব গণস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। এছাড়া এই আইনের অধীনে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের জন্য সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজে অথবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মা-বাবা, বৈধ বা আইনানুগ অভিভাবক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন মামলা দায়ের করতে পারবেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পার্ক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে বের করে দিলেন ‘বিবেকসম্পন্ন’ সহসভাপতি

পার্ক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণকে বের করে দিলেন ‘বিবেকসম্পন্ন’ সহসভাপতি
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন যুবক ফারদিন ও তার মা/সংগৃহীত

ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অষ্টম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছিলেন অন্যান্য গণ্যমান্য অতিথিরা। মঞ্চের সামনে দিয়ে আপন মনে হাঁটছিলেন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক তরুণ। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দিতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলে উঠেছিলেন, “ও হাঁটছে, ওকে হাঁটতে দাও।”

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিলের সেই দিন বিনা বাধায় হাঁটার সুযোগ পেয়েছিলেন মো. এমরান হোসেন ফারদিন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছিল। সেই ফারদিনকে সম্প্রতি ঢাকার একটি পার্কে হাঁটায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টর পার্কে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে যান ফারদিনের মা জেসমিন মোশাররফ। সেখানেই বেঞ্চে বসা এক নারীর হাত ধরে টান দেন ২৮ বছর বয়সী অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তরুণ। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী ১১ নম্বর সেক্টর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ-সভাপতির কাছে অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে তার দাবি, ওই তরুণ তাকে শ্লীলতাহানি করেছেন।

একদিন পর অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তরুণ ও তার মাকে আটকে রেখে একটি অঙ্গীকারনামায় জেসমিনের সই নেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম। যেখানে লেখা ছিল, “ফারদিন ও জেসমিন আর কখনো এ পার্কে ঢুকতে পারবেন না।”

ওই তরুণের মায়ের অভিযোগ, অঙ্গীকারনামায় সই নেওয়া ছাড়াও ছেলে ও তাকে পুলিশে দেওয়া, ফারদিনকে বাথরুমে আটকে রাখার হুমকিসহ নানাভাবে তাদের হয়রানি করা হয়।

সেই ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেসমিন বলেন, “১১ নম্বর পার্কে ছেলেকে নিয়ে হাঁটছিলাম। ছেলে অটিস্টিক। ডায়াবেটিস আছে। ইনসুলিন নিতে হয়। ১০ নম্বর সেক্টরে আমাদের বাসা, কিন্তু সেখানে পার্ক না থাকায় ছেলেকে নিয়ে ওই পার্কেই হাঁটতে যাই। সেদিন ছেলে বেঞ্চে বসে থাকা এক মেয়ের হাত ধরেছিল। এ অপরাধে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করা হয় আমাকে। ওই অঙ্গীকারনামায় টাইপ করে লেখা হয়েছে, আমি ছেলেকে নিয়ে আর পার্কে হাঁটতে যেতে পারব না। আমার জীবনে এখন পর্যন্ত এটিই সব থেকে দুঃখজনক ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “সেদিন ছিল প্রচণ্ড গরম। ফারদিন অস্থির হয়ে উঠেছিল। তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বারবার তাদের অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু আমাদের পুলিশে দেবে, ছেলেকে বাথরুমে আটকে রাখবে বলে হুমকি দিতে থাকে। তখন বলি, আমার ছেলেকে বাথরুমে আটকে রাখার দরকার নেই। সে যে অপরাধ করেছে তার জন্য বরং তাকে ফাঁসিতেই ঝুলিয়ে দেন।”

ফারদিনের বাবা চিকিৎসক এ কে এম মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমার ছেলে যার হাত ধরেছিল, তিনি একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। মেডিকেলপড়ুয়া একজনের অটিজম সম্পর্কে কোনো ধারণা থাকবে না, এটা কেমন কথা। সরকার অটিজম সচেতনতায় কত কিছু করছে। আমার ছেলে–স্ত্রীর এভাবে অপমানিত হওয়ার ঘটনা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”

ফারদিনের মা জেসমিন বলেন, “অটিস্টিক বাচ্চার বাবা-মায়েরা শখ করে তো সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে যান না। ওরাও তো এ দেশের নাগরিক। ওদেরও তো অধিকার আছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও ওকে হাঁটতে বাধা দেননি। এখন অঙ্গীকারনামা দিতে হয় যে ছেলেকে নিয়ে পার্কে যেতে পারব না।”

এদিকে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার মীমাংসার উদ্যোগ নেয় পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এ নিয়ে একটি বৈঠকে অভিযোগ করা নারী, তার স্বামী এবং সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ফারদিনের মা-বাবার কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা চান।

এর আগে, লিখিত অভিযোগে ওই নারীর স্বামী দাবি করেন, “অপরিচিত এক তরুণ তার স্ত্রীর হাত ধরে টেনেছেন। তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।”

ওই অভিযোগের বিষয়ে নেওয়া অঙ্গীকারনামায় সোসাইটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলামের নীল কালির সিল ব্যবহার করা হয়।

যেখানে এই ঘটনায় নেওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে লেখা ছিল, “অভিযুক্ত তরুণ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি পার্কে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটান। ভবিষ্যতে তিনি যাতে আর এই পার্কে না আসেন, অঙ্গীকারনামা নিয়ে এই বিষয়ে সতর্ক করা হলো।”

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোসাইটির সভাপতি আলতাফ হোসেন সরকার বলেন, “সহ-সভাপতি অতি উৎসাহী হয়ে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে আমরা লজ্জিত। তিনি এভাবে সাদা কাগজে অঙ্গীকারনামা নিতে পারেন না। সহ-সভাপতি এবং অভিযোগ করা ওই নারী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। সহসভাপতি এ-ও কথা দিয়েছেন ভবিষ্যতে এমন আর কোনো ঘটনা ঘটবে না।”

অঙ্গীকারনামার বিষয়ে ফারদিনের বাবা বললেন, “আমার ছেলে কথাও বলতে পারে না। অটিস্টিক বাচ্চাদের দেখলে যে কেউ তা বোঝার কথা। অথচ অভিযোগকারী ওই নারী আর সোসাইটির সহ-সভাপতি সেটা বুঝতে পারলেন না। সাদা কাগজে আমার স্ত্রীর সই নিয়ে তাতে মনগড়া অশ্লীল কথা লিখে রাখলেন। আমার ছেলে অপরাধী নয়, এরপরও তার সঙ্গে তেমন ব্যবহার করা হয়েছে।”

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনে বলা আছে, ভৌত অবকাঠামো, যানবাহন, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ জনসাধারণের জন্য প্রাপ্য সব সুবিধা ও সেবায় অন্যদের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরও সমান সুযোগ এবং সমান আচরণপ্রাপ্তির অধিকার রয়েছে।

আইনে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, পার্ক, স্টেশন, বন্দর, টার্মিনাল, সড়কসহ সব গণস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। এছাড়া এই আইনের অধীনে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের জন্য সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজে অথবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মা-বাবা, বৈধ বা আইনানুগ অভিভাবক বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠন মামলা দায়ের করতে পারবেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত