বাড়ছে তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার শঙ্কা

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
বাড়ছে তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার শঙ্কা
বৃষ্টিপাতের আভাস

ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে চরের ফসলসহ দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিস্তৃর্ণ তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষের জানমালের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও, কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাটের গোবর্দ্ধন এলাকার বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া ইএনবিকে বলেন, “চরে তিন দোন জমিতে রোপা আমন করেছিলাম। ধান উঠার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।”

আরেক কৃষক তোতা মিয়া বলেন, “চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হয় জন্য নিয়ে আসিনি বাড়িতে। পানি আসার খবরে কোনোরকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়তেছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।”

আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, “বন্যার পানিতে চরের সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।”

এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছে বানভাসী মানুষ। গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বানভাসী মানুসের মাঝে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লিউসি) তথ্যানুযায়ী বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিকিমে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “উজানের ভারি ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বাড়ছে তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার শঙ্কা

বাড়ছে তিস্তার পানি, লালমনিরহাটে বন্যার শঙ্কা
বৃষ্টিপাতের আভাস

ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে চরের ফসলসহ দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিস্তৃর্ণ তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষের জানমালের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও, কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়।

লালমনিরহাটের গোবর্দ্ধন এলাকার বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া ইএনবিকে বলেন, “চরে তিন দোন জমিতে রোপা আমন করেছিলাম। ধান উঠার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।”

আরেক কৃষক তোতা মিয়া বলেন, “চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হয় জন্য নিয়ে আসিনি বাড়িতে। পানি আসার খবরে কোনোরকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়তেছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।”

আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, “বন্যার পানিতে চরের সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।”

এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছে বানভাসী মানুষ। গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বানভাসী মানুসের মাঝে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লিউসি) তথ্যানুযায়ী বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিকিমে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “উজানের ভারি ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত